আরমান ভাই নাটকের দৃশ্যে জাহিদ হাসান, তিশ
ছোট পর্দার গুণী নির্মাতা সাগর জাহান। ২০০৮ সালে একটি চিত্রনাট্য নিয়ে জাহিদ হাসানের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। চিত্রনাট্য পড়েই জাহিদ হাসান কাজটি করতে রাজি হয়ে যান। তারপর ছোট পর্দায় উঠে আসে ‘আরমান ভাই’ চরিত্রটি। ‘আরমান ভাই ফাঁইসা গেছে’ শিরোনামে নাটকটির প্রথম খণ্ড নির্মিত হয়। এরপর ‘আরমান ভাই দ্য জেন্টেলম্যান আরমান ভাই হানিমুনে’ সহ প্রতি ঈদে দর্শকের সঙ্গী হয়েছে ঢাকাইয়া ভাষায় আরমান ভাইয়ের দাদাগিরি আর হাস্যরসাত্মক কার্যকলাপ।
নাটকটির মোট ৭টি সিক্যুয়েল নির্মিত হয়েছে।
এরপর পরিচালক এ নাটক শেষ করে দেন।
এদিকে করোনা তাণ্ডবে দিশেহারা বিশ্ববাসী। দেশের টেলিভিশন নাটকের সব ধরণের শুটিং বন্ধ। নির্মাতা-কলাকুশলী বেকার সময় পার করছেন। অন্যদিকে ঈদুল ফিতর কড়া নাড়ছে দরজায়। কিন্তু নতুন কোনো নাটক নির্মাণের সুযোগই পেলেন না নির্মাতারা।
এ পরিস্থিতিতে ‘আরমান ভাই’ নাটকের নতুন সিক্যুয়েল নির্মাণ নিয়ে কী ভাবছেন পরিচালক সাগর জাহান এ বিষয় tmnews71 সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এ পরিচালক বলেন—‘আমার এই কাজ মানুষের ভেতরে যে ভালো লাগা তৈরি করেছিল সেগুলো যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, এজন্য সিক্যুয়েল আর বাড়াইনি। তবে কোনো দিন আরমান ভাই সিক্যুয়েল নির্মাণ করব না সেটা কিন্তু না। জাহিদ ভাইসহ সবকিছু যদি ঠিক থাকে, তবে আবারো আরমান ভাই নাটকের সিক্যুয়েল নির্মাণ করব। কিন্তু দেশের এই পরিস্থিতিতে এখন কোনো কাজে হাত দিচ্ছি না।
‘‘আরমান ভাই নাটকের সাতটি সিক্যুয়েল তৈরি করেছিলাম। এই নাটক যেখানে শেষ করার, আমি কিন্তু শেষ করে দিয়েছি। বাংলাদেশে ৬ পর্বের ধারাবাহিক নাটকের আইডিয়াটা আমার ছিল কিনা তা নিশ্চিত নই। কিন্তু বাংলাদেশে প্রথম ৬ পর্বের সুপারহিট যে নাটকটি হয় সেটি ‘আরমান ভাই দ্য জেন্টলম্যান’। এটাতে ফরীদি ভাইও অভিনয় করেছিলেন।’’ বলেন সাগর জাহান।
জনপ্রিয় এ নাটক নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণাও দিয়েছিলেন নির্মাতা। কিন্তু পরবর্তীতে সে আলোচনাও থেমে যায়। এ প্রসঙ্গে সাগর জাহান বলেন—‘টিভিতে আরমান ভাই সিক্যুয়েল শেষ হওয়ার পর এটা নিয়ে সিনেমা বানানোর ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু নানাবিধ কারণে তা আর হয়ে উঠেনি।’
জাহিদ হাসান ছাড়াও এ নাটকের বিভিন্ন সিক্যুয়েলে অভিনয় করেছেন—হুমায়ুন ফরীদি, ইলোরা গহর, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মাজনুন মিজান, তমাল, হুমায়রা হিমু প্রমুখ। নাটকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনে প্রচার হয়েছে।