কলা সুপরিচিত একটি ফল। এটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। তবে কলার অন্যতম অনন্য বৈশিষ্ট্য হল এটি কাঁচা-পাকা দুই অবস্থাতেই খাওয়া যায়।
তবে কলা মূলত পাকলে এটি ফল ও কাঁচা অবস্থায় থাকলে এটি সবজি হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কলায় প্রচুর প্রোটিন ও আয়রন থাকে। আসুন জেনে নেই কাঁচা কলার আরও কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা –
ওজন কমায়
ওজন কমাতে চাইলে খাদ্য তালিকায় কাঁচা কলা রাখা উচিত। কাঁচা কলার ফাইবার অনেকটা সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় তা মেদ কমাতেও সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে
পাকা কলার মতো কাঁচা কলাতেও প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রতিদিন ৪,৭০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম গ্রহণে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস হয়। তবে পটাসিয়াম সবার জন্য নিরাপদ নয়। উচ্চ রক্তচাপ অথবা কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদের পক্ষে তাই কাঁচা কলা খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্যেও কাঁচা কলা উপকারী। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন বি-৬ গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে টাইপ-টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
পেটের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে
কাঁচা কলা আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় এটি খুব সহজে হজম হয়। কাঁচা কলা পেটের ভেতরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়। তবে অতিরিক্ত পেট ফোলার সমস্যা থাকলে কাঁচা কলা না খাওয়াই ভালো। কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যাও অনেক সময়ে বাড়িয়ে দেয়।