দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৭০৬ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। একইসময়ে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ১৩০জন। ফলে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২, ৮২৫ জন এবং মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১,৯১০ জন।
ফলে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিতের পরীক্ষা কমেছে। সেইসঙ্গে কমেছে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় মহাখালী থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘আমরা গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করেছি ৬ হাজার ৩৮২টি। নমুনা পরীক্ষা করেছি ৫ হাজার ৮৬৭টি। এই সংগৃহীত নমুনা থেকে শনাক্ত রোগী পেয়েছি ৭০৬ জন। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৪২৫ জন। সুস্থ হয়েছে ১৩০ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৯১০ জন।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় বুলেটিনে।
এর আগে বুধবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ৭৯০ জন, মৃত্যু হয় ৩ জনের। গতকাল নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৬ হাজার ৭৭১টি এবং নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬ হাজার ২৪১টি। তার আগের দিন মঙ্গলবার শনাক্ত হয় ৭৮৬ জন, মারা যায় ১ জন।
করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে। তবে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস ক্রমে গোটা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। চীন পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দিয়ে উঠলেও এখন মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মরণব্যাধিটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৩২৫ জন। এতে করে মোট আক্রান্ত বেড়ে ৩৮ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ হাজার ৮১১ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ২ লাখ হাজার ৬৪ হাজার ৮৩৭ জনে ঠেকেছে। আর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৩ লাখ ২ হাজার ৮৯১ জন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুও।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। নিয়েছে আরও নানা পদক্ষেপ। যদিও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় খুলেছে পোশাক কারখানা। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করা না গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে কি-না, তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা।