এবার চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমিকে অনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে মার্কিন ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি)।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অফিসে গত সপ্তাহে বেইজিংয়ের উপর চাপ বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমি কর্পোরেশন এবং চীনের তৃতীয় বৃহত্তম জাতীয় তেল সংস্থা‘চায়না ন্যাশনাল অফশোর অয়েল কর্পোরেশন’কে সামরিক সংযোগের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
গত বছরই চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে এবং জেডটিই-কে অনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে মার্কিন ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি)। বৃহস্পতিবার, মার্কিন প্রশাসন চীনা সামরিকের সাথে সম্পর্কযুক্ত তার ব্ল্যাক লিস্টে নয়টি সংস্থা যুক্ত করেছে, যার মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গিয়ারার-এর তথ্য অনুসারে, এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন কীভাবে শাওমি বা অন্যান্য সংস্থাগুলি চীনা সামরিক বাহিনীর সাথে জড়িত সে সম্পর্কে কোনও প্রমাণ দেয়নি। শাওমি মূলত একটি স্মার্টফোন এবং ইলেকট্রনিক্স সংস্থা, তা জেনেও বেশ অপ্রত্যাশিত ছিল এই কালো তালিকাভুক্ত করণ।
রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন বিনিয়োগকারীরা আর এই ব্ল্যাক লিস্টেড কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগ করতে পারবেন না। তাদেরকে শাওমির মত কোম্পানির শেয়ার এবং সিকিউরিটিজ কিনতে নিষেধ করা হয়েছে। এমনকি পুরানো সমস্ত চুক্তি ১১ নভেম্বর, ২০২১ এর মধ্যে তুলে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
চীনা দূতাবাসের তরফে বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে, জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে বিদেশি সংস্থাগুলিকে জব্দ করাই লক্ষ্য আমেরিকার। তাদের অভিযোগ, রাজনীতি এবং আদর্শের সঙ্গে অর্থনীতি এবং বাণিজ্যকে একই সুতোয় বেঁধে ফেলছে ওয়াশিংটন। তবে আমেরিকার বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওয়ের দাবি, দক্ষিণ চীন সাগরে বেজিংয়ের আগ্রাসনের জেরে দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশের সার্বভৌমিকতা লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই চীনের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ।
এই ব্ল্যাক লিস্ট হুয়াওয়ের ব্যান থেকে আলাদা। কারণ শাওমিরা এখনও লাইসেন্স ছাড়াই মার্কিন কোম্পানিগুলির প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে।