মাঘের শুরুতেই বেড়েছে কুয়াশার ও শীতের দাপট। গত দু’দিন শহর থেকে গ্রাম সবখানে তীব্রভাবে জেঁকে বসেছে শীত। আর ঘন কুয়াশায় স্থবির হয়ে গেছে চারদিক।
ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক ও মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। রাতের প্রথম প্রহরে হঠাৎ করে ঘন কুয়াশায় ঝাপসা হয়ে গেছে চারদিক। ফলে মহাসড়কগুলোতে সব ধরনের যান চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে দুর্ঘটনা আশঙ্কা।
এই কুয়াশার প্রচণ্ড প্রভাব পড়েছে সাভার ও আশুলিয়ার মহাসড়কগুলোতে। ঘন কুয়াশায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালাচ্ছে চালকরা। দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বাইপেল ত্রিমোড় দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়ক আচ্ছন্ন থাকায় পরিবহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ও ধীরগতিতে চলাচল করছে। ফলে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে।
এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া, দিনমজুর, দরিদ্র মানুষেরা। সকাল সকাল শীত উপেক্ষা করেই হেঁটে অথবা বাসে করেই কর্মস্থলে যাচ্ছেন পোশাক শ্রমিকরা।
ঢাকাগামী এক বাস চালক বলেন, ঘন কুয়াশায় ১০-১৫ ফুট দূরের কিছু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। তাই হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে বাস চালাতে হচ্ছে।
এক ট্রাকচালক বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। ভোর থেকেই মির্জাপুর থেকে ঘন কুয়াশা শুরু হয়েছে। এক ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লেগেছে তিন ঘণ্টা।
এ বিষয়ে সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, অন্য কয়েকদিনের তুলনায় সোমবার কুয়াশার তীব্রতা অনেকটাই বেশি। সড়কে পরিবহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। তবে আমরা সড়কে রয়েছি। দুর্ঘটনা এড়াতে সাবধানে ও ধীরে গাড়ি চালানোর জন্য সব পরিবহন চালককে নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছি।