দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় দেড় হাজার পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের খোঁজ নিতে পুলিশের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে ‘বিশেষ টিম’।
আজ শনিবার দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জীবন বাজি রেখে লড়ে যাচ্ছে পুলিশ। এই সময়ে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে ছয় জন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নির্দেশে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা ও কল্যাণে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী বাড়ানো হচ্ছে চিকিৎসা ও সেবার আয়োজন।
এরই ধারাবাহিকতায় আইজিপির নির্দেশে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে করোনা আক্রান্ত প্রত্যেক সদস্যকে সশরীরে পরিদর্শনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ‘বিশেষ টিম’ গঠন করছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। প্রাথমিকভাবে এই বিশেষ টিমগুলো করোনা আক্রান্ত প্রত্যেক সদস্যকে সরেজমিনে পরিদর্শন করবে, তাদের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেবে, হাসপাতাল কিংবা আইসোলেশনে থাকাকালীন তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জেনে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেবে। একইসঙ্গে পদমর্যাদা নির্বিশেষে প্রত্যেক সদস্য যাতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান— সেই ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে কার্যকর উদ্যোগ নেবে।
ইতোমধ্যেই ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ডিএমপির একটি বিশেষ টিম গতকাল কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ ও করোনা চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের বর্ধিতাংশ ডিএমপির ট্রাফিক ব্যারাক, রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদের সশরীরে পরিদর্শন করেছে। সে সময় করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা এই বিশেষ টিমকে সামনে পেয়ে উজ্জীবিত হন এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান। বিশেষ টিমটি সমস্যার কথা জেনে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানে উদ্যোগ নেয়।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হওয়া ৯৮ পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়েছেন। আইজিপির নির্দেশে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতকল্পে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বেসরকারি ইমপালস হাসপাতালে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছয়টি বিভাগীয় শহরে হাসপাতাল ভাড়া করে সেখানেও প্রয়োজনীয় সব সুবিধা যুক্ত করা হচ্ছে। আক্রান্ত সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন আইজিপি। পাশাপাশি তিনি ব্যক্তিগতভাবে ইউনিট কমান্ডারদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিনিয়ত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।