পটুয়াখালীতে অভিযান চালিয়ে ভূয়া ডাক্তার মোঃ মশিউর রহমানকে (৪৮)গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। দেয়া হয়েছে ৬ মাসের কারাদন্ড। জরিমানা করা হয়েছে ২ লাখ টাকা।
র্যাব জানায়, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে পটুয়াখালী র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিন এর নেতৃত্বে একদল র্যাব শহরের ছোট চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালে অভিযান চালায়।
এ সময় ওই হাসপাতালের মালিক মোঃ মশিউর রহমানকে তার নিজ চেম্বার থেকে গ্রেপ্তার করেন।
র্যাব আরও জানায়, ভূয়া ডাক্তার মোঃ মশিউর রহমান চিকিৎসা শাস্ত্রে পেশাধারী ডিগ্রী অর্জন না করেও প্রতারনামূলক ভাবে চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসাবে চোখের বিভিন্ন ধরণের জটিল রোগের চিকিৎসা করে আসছেন।
পরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুবুল ইসলাম অভিযুক্ত মোঃ মশিউর রহমানকে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ ধারা মোতাবেক ৬(ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন এবং ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারা মোতাবেক ২ দুই লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৬(ছয়) মাসের কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। এ সময় পটুয়াখালী সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডাক্তার সুমন কুমার বালা ও জেলা স্যানিটারী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আল মাসুদ উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃত মশিউর রহমান সদর উপজেলার লোহালিয়া ইন্দ্রকুল গ্রামের মৃত ডাঃ আব্দুর রহমানের ছেলে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে র্যা ব সদস্যরা শহরের কলাতলা এলাকায় অবস্থিত জাহানারা হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আভিযান চালায়। এ সময় অনুমোদনবিহীন ভাবে হসপিটাল পরিচালনা, অপ্রতুল ও মানহীন চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ব্যবহার, ডায়াগনস্টিক রিপোর্ট পূর্ব থেকেই প্রস্তত করে রাখাসহ নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে ওই হসপিটালকে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুবুল ইসলাম ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।