পবিত্র কোরআনের অন্যতম ছোট সূরা হিসেবেও বিবেচিত সূরা আল ইখলাস। এই সূরাকে কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমানও বলা হয়।
সূরা আল-ইখলাস, পবিত্র কোরআন মাজীদের ১১২তম সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ৪টি। শব্দ সংখ্যা ১৫, অক্ষর ৪৭। এই সূরাতে আল্লাহ তাআলার অস্তিত্ব ও সত্তার সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে।
সূরা ইখলাসের ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক। সূরা ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন, তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সূরাকে ভালোবাসি, রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সূরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (মুসনাদে আহমদ ৩/১৪১)
সূরা ইখলাস তিনবার পাঠ করলেই পূর্ণ কোরআন মাজিদ পাঠ হয়ে যাবে বা এক খতম কোরআনের সওয়াবপ্রাপ্ত হবে – এরূপ কথা হাদিসের কোথাও বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে যে সূরা ইখলাস কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সমতুল্য। এর মর্মার্থ হলো, এ সূরাটি যে ব্যক্তি বুঝে পাঠ করবে তার অন্তরে আল্লাহর নাম ও গুণাবলি গেঁথে যাবে, ফলে সে শিরক করার চিন্তাধারা থেকে পরিচ্ছন্ন থাকবে।
অর্থাৎ সূরা ইখলাস পাঠের মাধ্যমে কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের আমল তার মধ্যে পাওয়া গেল। এর অর্থ এই নয় যে একবার সূরা পাঠ করলে এক-তৃতীয়াংশ পাঠ করা হলো এবং তিনবার পাঠ করলে এক খতম কোরআন পাঠ করা হলো এবং এক খতমের সওয়াবপ্রাপ্ত হবে। এমনটা নয়। তাই এর ভুল ব্যাখ্যা না করাই ভাল।
রাসূল (সা.) যেটি বলেছেন, আমাদের সেটাই বলতে হবে। এখানে কোনো ধরনের যোগ-বিয়োগ অঙ্ক কষে, রাসূল (সা.) যা বলেছেন, তার বাইরে বক্তব্য দেবেন, এ বক্তব্য দেওয়ার কোনো অধিকার ইসলামের মধ্যে কারো নেই। কোনো আলেমকে এখানে অধিকার দেওয়া হয়নি। মানুষ মনে করে যে, সূরা ইখলাস তিনবার পড়লেই কোরআন খতম হয়ে যাবে। না, রাসূল (সা.) যেটা বলেছেন, সেটাই হচ্ছে কথা। সেটা হলো, ‘কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।’