প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছেন দেশের চার নারী বিচারক। তারা হলেন- মুন্সীগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আফসানা আবেদীন, টাংগাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন মাহবুবা, কক্সবাজার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক (জেলা জজ) জেবুন্নাহার আয়শা এবং জামালপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ লুবনা জাহান।
তাদের চারজনের মধ্যে তিনজন দক্ষিণ সুদানে অবস্থিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে (ইউএনএমআইএসএস) এবং অন্যজন সোমালিয়ায় অবস্থিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে (ইউএনএসওএম) যোগ দেবেন।
আজ আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ড. রেজাউল করিমের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চার বিচারকের মধ্যে মুন্সীগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আফসানা আবেদীন ও টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন মাহবুবা সোমবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। কক্সবাজার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) জেবুন্নাহার আয়শা আগামী ১৯ মার্চ দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশে এবং জামালপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ লুবনা জাহান আগামী ১৫ মার্চ সোমালিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
এ উপলক্ষে রবিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার তাদের বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান। এ সময় এই বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহাসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তারা সেখানে ‘রুল অব ল অ্যাডভাইজরি’ শাখায় এক বছর প্রেষণে ‘জাস্টিস অ্যাডভাইজার’ হিসেবে বিচার ব্যবস্থার পুনর্গঠন ও উন্নয়নে কাজ করবেন। এ জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে আইন ও বিচার বিভাগ থেকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত চার জন বিচারককে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তথা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নারী বিচারকদের এই অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের জন্য একটি মাইলফলক।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের নারী বিচারকরা তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনবেন।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস। এই দিবসে দুই জন নারী বিচারকের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগদান বাংলাদেশের বিচার বিভাগের জন্য বিশাল প্রাপ্তি।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি নারী বিচারকের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি রক্ষা কার্যক্রম আরও মজবুত হবে।