(রাব্বি) মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের তালিকাভুক্ত প্রাচীন স্থাপনা মিঠাপুকুর বড় মসজিদ। রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার অন্তর্গত একটি প্রাচীন মসজিদ এটি। ধারণা করা হয় মোঘল আমলের শেষ দিকে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে।
মিঠাপুকুর বড় মসজিদটি রংপুর শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে রংপুর ও বগুড়া মহাসড়কের ওপর অবস্থিত। মিঠাপকুর উপজেলা সদরে অবস্থিত বলে এ মসজিদকে মিঠাপুকুর বড় মসজিদ বলে অভিহিত করা হয়।প্রায় ২৫ একর আয়তনের বিশাল জলাশয়ের নাম মিঠাপুকুর। এ জলাশয় বা দিঘীর নামানুসারে স্থানের নামকরণ করা হয়েছৈ মিঠাপুকুর। মসজিদটিও জলাশয় সংলগ্ন।
মসজিদের চারপাশে রয়েছে সুরম্য গেটসহ অনেক পুরো বাউন্ডারি দেয়াল। দেয়ালের অভ্যন্তরে রয়েছে খোলা আঙ্গিনা। মসজিদের চার কোনায় পিলারের ওপর রয়েছে চারটি মিনার। মিনারগুলো আট কোনাকারে নির্মিত। মিনারগুলো ছাদের কিছু ওপরে ওঠে গম্বুজ আকৃতিতে শেষ হয়েছে।
মসজিদে প্রবেশের জন্য রয়েছে কারুকার্য খচিত তিনটি প্রবেশ দ্বার। মসজিদের মধ্যের প্রবেশদ্বারের দু পাশের পিলারের ওপরও রয়েছে ছোট দুটি মিনার। সামনের অংশে পোড়া মাটির কারুকায মসজিদটিকে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে।মসজিদের ভেতরে সামনের দরজা বরাবর পশ্চিম দেয়ালে রয়েছে তিনটি মেহরাব।
চার পাশের কৃষি জমি বেষ্টিত মসজিদটি অনন্য দৃষ্টিনন্দন স্থাপনায় পরিণত হয়েছে। মসজিদটির প্রবেশ দ্বারেও রয়েছে কারন্ডকাজের ছাপ। মসজিদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো কন্দকারে নির্মিত সুবিশাল তিনটি গম্বুজ।প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতেরর তালিকাভুক্ত এ দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি প্রাচীনকাল থেকে মিঠাপুকুরকে ইসলামি জনপদ হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে।