প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশে চলমান টিকাদান কর্যক্রম এগিয়ে নিতে ৫০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্ব ব্যাংকের নির্বাহী পর্ষদ। ৫ কোটি ৪০ লাখ মানুষকে টিকা দিতে এ ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ।
চলতি মাসের ১৮ তারিখে এ ঋণ অনুমোদন করে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়। শুক্রবার (১৯ মার্চ) সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ প্রায় চার হাজার ৩০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ধরে)। পাঁচ বছরের গ্রেস (কিস্তি অব্যাহতি) দিয়ে ৩০ বছর মেয়াদে এ ঋণ বাংলাদেশকে পরিশোধ করতে হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) এই অর্থায়ন করবে। এ ঋণের আওতায় দেশের ৫ কোটি ৪০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য অগ্রাধিকার পাবে।
বিশ্ব ব্যাংক বলছে, ‘কোভিড-১৯ ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপার্ডনেস প্রজেক্ট’-এর অধীনে বিশ্ব ব্যাংকের অতিরিক্ত এই অর্থায়ন, প্রথম পর্যায়ে দেশের ৪০ শতাংশ নাগরিককে টিকা দেওয়ার সরকারের প্রাথমিক অগ্রাধিকার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
কোভিড-১৯ প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রমের জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম ধাপে বিশ্বব্যাংক যে তিনটি দেশের জন্য ঋণ অনুমোদন করেছে, বাংলাদেশ তার অন্যতম। অন্য দুটি দেশ হচ্ছে নেপাল ও আফগানিস্তান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গ্লোবাল আ্যাকসেস ফ্যাসিলিটির (কোভ্যাক্স)- আওতায় দেশের ২০ শতাংশ নাগরিকের জন্য যে টিকা বাংলাদেশ পাবে, তার ব্যয় বহন করা হবে বিশ্বব্যাংকের এই ঋণের অর্থ থেকে।
এছাড়া আরও ১১ শতাংশ নাগরিকের জন্য টিকা উৎপাদকের কাছ থেকে সরাসরি কেনা বা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাওয়া টিকা ও টিকাদানের খরচও বহন করা হবে। এর বাইরে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে বাকি ৯ শতাংশ নাগরিকের টিকার খরচ জোগাবে।