পূর্ব শত্রুতা ও বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে শাড়ী দেওয়াকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সুধারামে পশ্চিম মাইজদী গ্রামে ১০ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্র জহির (১৫) কে শুক্রবার রাতে বাগানে নিয়ে বেদম মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুধারাম থানার পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এর আগে একই দিন দুপুরে তার বড় ভাই রুবেলকেও একই কায়দায় পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
দুই ভাই নোয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে জহিরের অবস্থা আশঙ্কা জনক। এই ঘটনায় রুবেলের রিকশা চালক পিতা ছালাউদ্দিন বাদী হয়ে রাতে অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ এখনো মামলা নেয়নি।
হাসপাতালে আহতদের স্বজনরা জানান, দীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর যাবত পশ্চিম মাইজদীর গ্রামের আলমগীরের বাড়িতে রিকশা চালক ছালাউদ্দিন পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকে। তার একটি মেয়েকে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া রাজুর সাথে বিয়ের কথা-বার্তা ঠিক হলে মালিক আলমগীর ও তার লোকজন এতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে বাধা উপেক্ষা করে বিয়ে দিলে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এর জের ধরে শুক্রবার দুপুরে ও রাতে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে প্রতিপক্ষ লিটন, মামুন, মারুফ, লোপা, অন্তর ক্ষিপ্ত হয়ে রাতে জহিরকে পাশ্ববর্তি বাগানে নিয়ে বেদম মারধর করে নির্যাতন চালাই এবং তাদের স্বর্ণালঙ্কার লুট করারও অভিযোগ করেন কনের মা মোবাশ্বেরা। এক পর্যায়ে পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এস আই ইকবাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এদিকে থানায় অভিযোগ দেওয়ায় এই রিকশা চালক অসহায় পরিবারটি আরো আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান এবং এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী করছেন। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সাহেদ উদ্দিন জানান, তারা লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।