মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন ছোটবিঘাই ইউনিয়নের হরতকীবাড়ীয়া গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ ইসমাইল প্যাদা(৭০) ও মোসাঃছালমা, বেগম (৩০) নামে দু’জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আহতরা হলেন, উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের কালাই প্যাদার ছেলে মোঃ ইসমাইল প্যাদা ও মোঃ ইউনুফ প্যাদার স্ত্রী মোসাঃছালমা বেগম গুরুতর আহত হয়েছেন।
এবিষয় ইসমাইল প্যাদা প্রতিবেদ’কে জানান,
গত ১৪ ই মে রোজবৃহস্পতিবার দুপুর ২.০০ টার দিকে আমার বাড়ীর প্রবেশ পথের দুপাশের গাছের ডাল বড় হওয়ায় আমি গাছের ডালপালা কেটে পরিস্কার করায়,প্রতিপক্ষ মোঃনাসির,প্যাদা(৫৫) পিতাঃমুনসুর আলী প্যাদা মোসাঃতাসলিমা বেগম(৪৮) স্বামী মজিবর প্যাদা,মোসাঃরেহেনা বেগম (৪৫) স্বামী হারুন গাজী, জাকুর প্যাদা (৪০) পিতাঃমুনসুর আলী প্যাদা,মোস্তফা প্যাদা(২৮) পিতাঃ নাসির প্যাদা,মোঃজাহিদুল ইসলাম(২২) পিতাঃমজিবরপ্যাদা,মোসাঃহালিমা বেগম(৪০) স্বামী মুনসুর আলী প্যাদা,সহআমার বসত বাড়ীতে গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার উপর বেধম মারধর করে এবং আমার পুএবধু
ছালমা, বেগম আমাকে বাচাতে এলে তাকেও বিবাদীদলের নাসির প্যাদা সহ ৬/৭ জন মোস্তফা ও জাহিদুল আমার ছেলের বউয়ের তলপেটে লাথি মারে এবং বস্রহরনের চেষ্টাকরে।
এসময় আমার ছেলের বউ অজ্ঞান হয়ে পড়লে এলাকাবাসী আমাকে সহ ছেলের বউকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।।
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, রোগীর তলপেটে আঘাত প্রাপ্তহওয়ায় বর্তমানে সে অসুস্থ রয়েছে।এবং বৃদ্ধাও শারীরিক ভাবে অসুস্থ রয়েছেন।।
উক্তবিষয়ে ছালমা বেগমের স্বামীঃ ইউসুফ প্যাদা বলেন, আমরা একই বাড়ীর নাসির প্যাদা এর নেতৃত্বে মোস্তফা,জাহিদুল,হালিমা সহ একাধীক আমার বাবাকে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে আমার স্ত্রী ধরতে আসায় তাকেও বেপরোয়া মারধর করে।এখন তারা হাসপাতালে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রী অন্তস্বত্যা। তার তলপেটে লাথি দেওয়ায় রক্তক্ষরন হচ্ছে। ডাঃ তার অবস্থা আসঙ্কাজনক বাবার অবস্থাও ভাল না।। এছাড়াও তিনি আরো বলেন,এদের অত্যাচারে আমরা দিশেহারা তাই গত ইংরেজি ২৯/০৩/২০২০ পটুয়াখালী সদর থানার স্বরনাপন্য হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয় যার ডায়েরী নং ১২৯৬।
এবিষয় স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিকব্যক্তি জানায়,,এরা এলাকার পয়োজন কারোসাথে বুনিবনা হয়না, এরা পরের জমি জবরদখল করে খায় সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক,দাঙ্গাবাজ,মারপিট করা এদের নেশা ও পেশা।
বিবাদী নাসির প্যাদার এর কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরস্পর আমরা আত্মীয়। একটু কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু পক্ষের মাঝে মারামারি হয় এবং দুই পক্ষই আহত হয়েছে এচাড়া বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে ফোন কেটে দেন।
এনিয়ে ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছালাম প্যাদা বলেন, আসলেই অমানবিকভাবে
ইসমাইল প্যাদা ও তার পুএবধু ছালমাকে মারধর করেছে।
এবিষয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃআলতাফ হাওলাদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইসমাইল প্যাদা আমার ইউনিয়নের একজন নিড়িহ ও সরল প্রকৃতির লোক। ওদের সাথে যা ঘটেছে আসলেই হুদয় বিদারক আমি এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। কিন্তুু প্রতিপক্ষ যে দল তাহার আইন কানুন কিছুই মানতে চায় না এবং গায়ের জোরে সবকিছু করে বেড়ায়।
এ ব্যপারে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আক্তার মোর্শেদ কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি তবে অভিযোগ পেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।।