সেতু নেই, তাই বাশের সাকো’ই ভরসা। এমন অবস্থায় অনেকটা ঝুকি নিয়েই আড়িয়াল খাঁ নদের উপর দিয়ে যাতায়াত করছেন নরসিংদীর রায়পুরা ও শিবপুর উপজেলার ২০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। স্থানীয়রা বলছেন, শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েই বছরের পর বছর পার করে দিচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা। এদিকে বেহাল ও নড়বড়ে বাঁশের সাকো দিয়ে নদী পার হতে গিয়ে প্রায় সময় ঘটছে দূর্ঘটনা। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ সেতু নির্মানের দাবি জানালেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ ও শিবপুর উপজেলার যোশর ও বাঘাব ইউনিয়নসহ প্রায় ২০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের জন্য একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাকো। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে স্থানীয়রা এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রতিদিন স্কুল শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে বছরের পর বছর পার করে দিচ্ছেন। এদিকে সাঁকোর অবস্থা বেহাল ও নড়বড়ে হওয়ায় যাতায়াত করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে রোগী সহ কোমলমতি শিশুসহ নারী ও বয়স্কদের।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে নদটি বি ক্যাটাগরির হওয়ায় ডিজাইনের কারনে সেতু নির্মানে বিলম্ব হচ্ছে।
কেবল আশ্বাস নয়, যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন দেখতে চান স্থানীয়রা। এ বাঁশের সাকো দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ যাতায়াত করে।