বেনাপোল বাজারের সবচেয়ে বড় মাংশ বিক্রেতা মিজানের বিরুদ্ধে মিথ্যা-অপবাদ দেওয়ায় সংবাদ সন্মেলন করেছেন তিনি।
শনিবার(১৬ মে) সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোল কার্যালয়ে এই সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঐ ক্লাবের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ অংশ নেন।
সংবাদ সন্মেলনে মাংশ বিক্রেতা গভীর দুঃখের সাথে সাংবাদিকদের জানান,শুক্রবার সকালে ডব্লিউ মার্কেটের মোবাইল দোকানদার সাংবাদিক পরিচয়ধারী মোস্তাফিজুর রহমান বাবু আমার দোকানে আসে মাংশ কিনতে। প্রতি কেজি মাংশের দাম কত সে জিজ্ঞাসা করে, আমি বলি ৫৫০ টাকা,সে বলে কম হবে না,আমি তাকে বলি গরুর যে দাম তাতে করে কম দেওয়ার কায়দা নেই,দুই কেজি মাংশ এক হাজার টাকায় দিবি,আমি তাকে অপারগতার কথা স্বীকার করি, দর কষা-কষির এক পর্যায়ে হঠাৎ সে ক্ষীপ্ত হয়ে বলে, এ তুই পঁচা মাংশ বিক্রি করিস, এ মাংশও পঁচা, আমি তাকে বলি-সকাল থেকে প্রায় ৪ মন গোশের মধ্যে ৩ মন গোশ আমি বিক্রি করেছি, পঁচা মাংশ বলে কেউ তো অপবাদ দেয়নি, এই কথা বলার পর সে আমার উপর উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং লোকজন জড়ো করতে থাকে,এরপর সে তার মোবাইলে আমার এবং মাংশের ছবি ভিডিও আকারে ধারন করে, কিছুক্ষন পর সে থানায় ফোন করে আমার দোকানে পুলিশ নিয়ে আসে,পুলিশকে উল্টা-পাল্টা বোঝাতে শুরু করে, এ ব্যাপারে পুলিশ আমাকে জিজ্ঞাসা করলে আমি বেনাপোল পৌরসভা কর্তৃক গরু জবাই এর পৌর টোল আদায়ের রশিদ দেখায়। ঐ সময় খবর পেয়ে পৌর কসাই খানার দায়িত্বে থাকা পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রাশিদা বেগম আমার দোকানে আসেন। সেখানে এই মাংশের ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে,রাশিদা বেগম সকলের উদ্দেশ্যে বলেন,বেনাপোল পৌর কসাই খানায় কোন প্রকার রুগ্ন গরু জবাই হয়না,টোল আদায়ের রশিদ তা প্রমান করে, এক পর্যায়ে বাবু উত্তেজিত হয়ে বলে আমি সাংবাদিক, ইন্সপেক্টরকে সে বলে,আপনি কত টাকা ঘুষ খেয়েছেন, এর প্রতিত্তোরে রাশিদা বেগম তাকে সাবধান করে দিয়ে বলেন,আপনার কথা-বার্তা ঠিক হচ্ছেনা। কথা কাটাকাটির এক পর্যায় তারা আমার প্রায় এক মন মাংশে কেরোসিন ঢেলে বাজারের পাশের একটি ময়লা খানায় মাটি চাপা দিয়ে দেয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মিজান বলেন, বংশগতভাবে তিন পুরুষ মিলে বেনাপোল গোঁশ মার্কেটে অত্যান্ত সুনামের সাথে মাংশ বিক্রি করে আসছি, রুগ্ন কিংবা পঁচা মাংশ বিক্রি’র স্ব-পক্ষে কোন প্রমানাদি কেউ কোনদিন দিতে পারেনি। সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু’র অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। অমানবিক বিবেচনায় আমার মত গরীব অসহায় মানুষকে ভীষনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। পঁচা মাংশ বিক্রি’র যে অপবাদ আমাকে দেওয়া হয়েছে,তাতে করে আমি আমার পরিবার-পরিজন নিয়ে সন্মানহানীকর পরিস্থিতির মধ্যে অসহায় হয়ে পড়েছি। সাংবাদিক বাবু’র এহনো কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মিজান অনুরোধ জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, অতীতে আমার পূর্ব পুরুষেরা বেনাপোল বাজারে যে ভাবে সুনামের সাথে কাজ করে গেছেন,আমিও ঠিক সেইভাবে কাজ করে যেতে চাই। এই জন্য এই মুহুর্তে সাংবাদিকদের সহায়তা আমার একান্ত প্রয়োজন।