December 23, 2024, 7:18 pm

স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি ওজনের শিশুর জন্ম

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : Saturday, April 3, 2021,
  • 254 Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কুমারশীল মোড়স্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে জেলার ইতিহাসে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি ওজনের একটি ছেলে শিশু জন্মগ্রহণ করেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা শহরের বেসরকারি হলিল্যাব হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই শিশুর জন্ম হয়। গাইনি চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার ওই অন্তঃসত্ত্বার অস্ত্রোপচার করেন। মা ও শিশু সুস্থ আছেন। ওই প্রসূতির নাম তাসলিমা বেগমকে (৩৮)।  তিনি সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের আবুল বাশারের স্ত্রী।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকালে ওই প্রসূতিকে হলিল্যাব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন।

প্রসবজনিত ব্যথা বাড়তে থাকলে হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাসলিমার অস্ত্রোপচার করেন।  তাসলিমার কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে ছেলেশিশু।  জন্মের পর শিশুটির ওজন মাপা হয়। সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুটির ওজন দেখায় ৫ কেজি ৭০০ গ্রাম।  শিশুর ওজন দেখে ডাক্তার-নার্সরাও অবাক হন।

তাসলিমা এর আগে কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার ছাড়া তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার জানান, কোনো নারী ৩৭ সপ্তাহের গর্ভবতী হলে সাধারণত আড়াই কেজি ওজনের শিশু জন্ম দিয়ে থাকেন। আর ৪০ সপ্তাহের গর্ভবতী হলে তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি ওজনের শিশু জন্ম দেন। সাধারণত অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার স্বামী সুঠাম দেহের অধিকারী হলে কিংবা শিশুর মা–বাবার ডায়াবেটিস থাকলে বেশি ওজনের শিশুর জন্ম হয়ে থাকে।  কিন্তু এই শিশুর বেলায় ঘটনাটি পুরোপুরি ব্যতিক্রম।

কারণ, তার মা ও বাবার শরীরের ওজন স্বাভাবিক এবং কারোরই ডায়াবেটিস নেই। তাসলিমা যে শিশুর জন্ম দিয়েছেন, সেটিকে আমরা সেক্রোসেমিয়া বা বেশি ওজনের শিশু বলে থাকি। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন।

 

ফৌজিয়া আক্তার আরও বলেন, গর্ভবতী অবস্থায় ওই নারী সুষম খাবার খেয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে তিনি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আরও তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

ফৌজিয়া আক্তার বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বেশি ওজনের শিশুদের বলা হয় ম্যাক্সোসোনিয়া। সাধারণত শিশুর মা-বাবা ডায়াবেটিক আক্রান্ত হলে অথবা শিশুর মা-বাবার বেশি ওজন হলে ম্যাক্সোসোনিয়া (বেশি ওজনের শিশু) শিশুর জন্মহতে পারে। তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো এ ধরনের কোনো লক্ষণ শিশুর মা বাবার নেই।

তিনি জানান এর আগে ২০০৭ সালে রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে ৬ কেজি ওজনের বাচ্চা জন্ম নিয়েছিল। জানা মতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌনে ৬ কেজি ওজনের শিশুটি দেশের দ্বিতীয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71