নওগাঁর মাঠে মাঠে দুলছে ইরি-বোরো ধানের শীষ। অর্থাৎ কৃষকের স্বপ্ন। ইতোমধ্যে ধানের শীষ কিছুটা বের হতে শুরু করেছে। এছাড়া আগাম জাতের ধানের শীষগুলো বের হয়েছে। আর অল্পদিনের মধ্যেই ধান পাকা শুরু হবে।
কৃষক ও কৃষি বিভাগ বলছেন, এ মৌসুম জুড়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকা এবং রোগ বালাই ও পোকা মাকড়ের উৎপাত না থাকায় জেলার সব মাঠে ধান খুব ভালো হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ধানের ফলন বেশি হবে। এছাড়া ধানের ন্যায্যমূল্য পেতে সংশ্লিষ্টদের আগাম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি কৃষকদের।
রাণীনগরের কালীগ্রামের খলিলুর রহমান, বেতগাড়ীর ইসমাইল হোসেন, মহাদেবপুরের আসলাম ও পত্নীতলার কালামসহ অনেক কৃষকরা বলেন, চলতি মৌসুম জুড়ে বৃষ্টি না হলেও এবার শুরু থেকেই ধানের গাছে তেমন পোকামাকড় বা রোগ বালাই নেই। তাছাড়া পোকামাকড় ও রোগবালাই প্রতিরোধে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া ও ভাল পরিচর্চা করায় ধানের গাছগুলো খুব ভালো রয়েছে। ইতোমধ্যে ধানের শীষও বের হতে শুরু করেছে এবং আগাম জাতের ধানের শীষ বের হয়েছে। ধান পাকার সময় কোনরুপ প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে কৃষকরা ভালোভাবে ধান ঘরে তুলতে পারলে গত বছরের তুলনায় এ বছর ধানের বেশি ফলন হবে।
তারা আরও বলছেন, প্রতি মৌসুমে ধান কাটার শুরুতেই দরপতনের ঘটনা ঘটে। এতে ভাল ফলন হলেও কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য দর না পেয়ে লোকসানের কবলে পরেন। তাই লোকসানের কবল থেকে রক্ষা পেতে শুরু থেকেই ধানের ন্যায্য দর পেতে সংশ্লিষ্টদের আগাম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ বলেন, কৃষি বিভাগের তদারকি, কৃষকদের সঠিক পরামর্শ ও দিকনির্দেশনার কারনে কৃষকরা শুরু থেকেই ইরি-বোরো ধানের সঠিক পরিচর্চা করেছেন। এ কারনে গত বছরের তুলনায় এবার ধান খুব ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।