চলতি মাসের ৫ তারিখ ভোর ৬টা থেকে সারা দেশে চলছে সাতদিনের লকডাউন। যা আগামীকাল রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে। করোনা ভাইরাসে শনাক্ত ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে আবারো এক সপ্তাহের লকডাউন দিতে যাচ্ছে সরকার।
আর এ লকডাউনেও শিল্পকারখানা খোলা রাখতে গত শুক্রবার থেকেই সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন গার্মেন্টস মালিকরা। পাশাপাশি শ্রমিকের বেতন-বোনাস পরিশোধে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা চাইছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপানা পরিচালক ফারুক হাসান বলেন, করোনার পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে হবে। আর তাই শিল্পকারখানা খোলা রাখার বিকল্প কোনো পথ নেই। করোনায় গোটা অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল। রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও খুবই খারাপ। এখন যদি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়, শিপমেন্ট করতে না পারি তাহলে তো আরও খারাপ অবস্থা হবে।
তিনি বলেন, গত বছর প্রণোদনার অর্থে শ্রমিকের বেতন দিয়েছি। এবারও সামনে ঈদ আছে। সবকিছু বিবেচনা করে আমরা ১০ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনার প্রস্তাবনা প্রস্তুত করছি। বিজিএমইএর বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ এই প্রস্তাবনা দেবে। আমিও তাদের সঙ্গে থাকবো।