চেয়ারম্যান শাহেদের – ডেস্ক রিপোর্ট।
দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও গণমানুষের সেবা বেকারত্ব নিরসনে কর্মসংস্থানের সুযোগ সহ বিভিন্ন সেক্টরে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, সেন্টার ফর পলিটিক্যাল রিসার্সের কর্ণধার মো. শাহেদ।
তিনি দেশ ও সমাজে মানুষের সেবা ও জীবনমান উন্নয়নে গড়ে তুলেছেন হাসপাতাল, গণতন্ত্রের উন্নয়নে রাজনৈতিক পরিক্ষাগার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সামাজিক ও কর্মসংস্থানমূলক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কথা হয় তার সাথে। জানান জানা অজানা কিছু কথা।
মো. সাহেদ একজন গণমাধ্যম প্রিয় আলোকিত মনের মানুষ। মিডিয়ার অনেকেই তাকে একজন রাজনৈতিক আলোচক হিসেবে চিনেন। কিন্তু তার এই পরিচিতি ও জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্বের অন্তরালে লুকিয়ে আছে অসংখ্য মানবিক গুণ সম্মেলিত মহৎ হৃদয়ের মানুষ। ব্যাক্তি জীবনে সফল একজন মানবিক মানুষ মোঃ শাহেদ।
নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন হাসপাতাল, কলেজ, পাঠাগার, রাজনৈতিক গবেষণা কেন্দ্র, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য গড়েছেন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে রিজেন্ট হাসপাতাল, উচ্চ শিক্ষার জন্য গড়ে তুলেছেন ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ। দৈনিক নতুন কাগজ। আইটি প্রতিষ্ঠান সহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান। তার হাসপাতালের দুটি শাখা ও কলেজ পরিচালিত হয় সম্পূর্ণ অলাভজনক ভাবে।
প্রতিনিয়ত ভর্তুকি দিয়ে এসব মানবিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন তিনি। তার হাসপাতালে সামর্থ্যবান রোগী আর অসচ্ছল রোগীরা সমান সেবা পায়। গরীব রোগীরা চিকিৎসার পাশাপাশি ওষুধও পায় নামমাত্র মূল্যে বা বিনামূল্যে। হাসপাতালের কর্মীদের প্রতি মো. সাহেদের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে, অর্থের কারণে কোনো রোগী যেনো ফিরে না যায়।
নিজের মায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে গড়ে তোলেন রিজেন্ট হাসপাতাল। এই হাসপাতালের দুটি শাখাই তার অনুপ্রেরণায় চিকিৎসক ও কর্মচারীরা সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও অসংখ্য গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন উচ্চশিক্ষার সু্যোগ।
দৈনিক নতুন কাগজ নামের একটি জনপ্রিয় দৈনিকের সম্পাদনার দায়িত্বও পালন করেন মো. সাহেদ। নতুন কাগজ অনলাইন এখন লাখো পাঠকের নির্ভর তথ্যের আস্থার সংবাদ মাধ্যম হিসেবে দেশ বিদেশের পাঠকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে। লেখালেখির জগতেও রয়েছে তার গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। মহান একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে মো. সাহেদের প্রবন্ধগ্রন্থ ‘নির্বাচিত সম্পাদকীয়’।
গ্রন্থটিতে স্থান পেয়েছে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ- ১. যানজট সঙ্কট: চাই কার্যকর সমাধান ২. পদ্মা সেতু: দৃশ্যমান বাস্তবতা ৩. পদ্মা সেতু: বিশ্বব্যাংক বনাম বাংলাদেশ ৪. বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাক ৫. নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ: নতুন সম্ভাবনা ৬. জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ: দৃশ্যমান জিরো টলারেন্স এবং ৭. তথ্য প্রযুক্তির সফল সূচকে বাংলাদেশ। বোদ্ধা পাঠকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে প্রবন্ধ গ্রন্থটি।