মেরুদন্ডের হাঁড় ভাঙ্গা আক্কাসের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসানাত মো.শহীদুল হক তার চিকিৎসায় নগদ দশ হাজার টাকা প্রদান করেন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেনের হাতে এ অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.হুমায়ুন কবির, উপজেলা ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খাঁন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইলিয়াস খান রানা প্রমুখ। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গাজী মো. জামাল আক্কাসের বাড়িতে গিয়ে টাকা পৌঁছে দেন। তিনি জানান, ছেলেটির আহাজারি দেখে চোখের পানি ধরে রাখা যায়না।
তিনি আরও বলেন, ব্যংক একাউন্ট এবং মোবাইলে বিকাশ করে দিয়েছি। সকলের কাছে অনুরোধ ছেলেটিকে যথাসম্ভব সাহায্য করবেন। উল্লেখ্য ঢাকার মিরপুরের বেরুলায় ২০১৮ সালের ৬ জুন বালুর ড্রেজার থেকে পড়ে মেরুদণ্ড ভেঙে যায় আক্কাসের।
২৫ জুন ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স’র চিকিৎসক বদরুল হক ইসলামের অধীনে অপারেশন হয় তার। পরবর্তী ১ মাস পরে তার কাছে গেলে তিনি বলেন, স্পাইনাল কড ফ্যাক্সার হয়েছে। ২ মাস পরে গেলে বলেন, ৬ মাস পরে ঠিক হয়ে যাবে।
উপযুক্ত চিকিৎসা না করাতে পেরে ছেলেটি বর্তমানে বিছানা থেকে উঠতে পারেনা। তার পা দুটো ও আস্তে আস্তে চিকন হয়ে যাচ্ছে। শরীরের সকল অঙ্গ অবশ হয়ে যাচ্ছে। সারাক্ষণ শুয়ে থাকতে হয় তাকে। পায়খানা প্রস্রাবের বেগ পর্যন্ত সে বলতে পারে না। সারাক্ষণ ক্যাথেটর পরিয়ে রাখা হয়েছে তাকে।
মাসের পর মাস হাসপাতালে থেকে সহায়-সম্বল যা ছিল সব হারিয়ে এখন নিঃস্ব প্রায় তার পরিবার। ইতিমধ্যেই ডাক্তার, কবিরাজ, ফকির মিলিয়ে সাত লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছেন তার চিকিৎসায়। অসুস্থ আক্কাস আলী খন্দকার বলেন, আমার খুব বাঁচাতে ইচ্ছে করছে। ডা.বলেছেন পুনরায় স্পিন অপারেশন করতে পারলে আবার আমি হাঁটতে পারব।
কিন্তু এর জন্য প্রায় নয় লক্ষ টাকার প্রয়োজন যা জোগাড় করা আমার পক্ষে অসম্ভব। তিনি বিত্তবানসহ সব শ্রেণীর মানুষের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। তিনি আরও বলেন, এলাকার কিছু মানুষ আমার সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন। জনতা ব্যাংক, কলাপাড়া শাখায় একাউন্ট খুলে দিয়েছেন। যার হিসাব নম্বর ০১০০২২২৪৮৫২৩৬ এবং বিকাশ নম্বর ০১৭৮৯৮০৭৭৩৬।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসানাত মো. শহিদুল হক বলেন, আক্কাসের অসুস্থতার কথা শুনেছি। তার চিকিৎসায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দিয়েছি। তিনি মানবিক কারণে আক্কাসের পাশে থাকার জন্য সমাজের বিত্তবানদের অনুরোধ করেন।