স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় সাক্ষাত করেছেন হেফাজতে ইসলামের একটি প্রতিনিধি দল।
বিলুপ্ত কমিটির মহাসচিব ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদির নেতৃত্বে সংগঠনটির নেতারা মঙ্গলবার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় যান। বের হন রাত ১২টার দিকে।
প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন হেফাজত নেতা ও বেফাকের মহাসচিব মাহফুজুল হক, অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী, আতাউল্লাহ হাফিজি। মাহফুজুল হক কারাবন্দি হেফাজত নেতা মামুনুল হকের ভাই।
বৈঠকের পর নুরুল ইসলাম জেহাদি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, হেফাজতের পক্ষ থেকে চারটি আবেদন জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অনুরোধের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি ‘দেখবেন’ বলে আশ্বাস দিয়েছেন। হেফাজতের চারটি আবেদনের মধ্যে রয়েছে
১. গ্রেপ্তার আলেম-ওলামা ও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া। ২. আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের গ্রেপ্তার এবং হয়রানি না করা। ৩. সরকারের নির্দেশে বন্ধ কওমি মাদ্রাসা খুলে দেয়া। ৪. ২০১৩ সালের হেফাজতের নেতাদের নামে মামলা গুলো পূর্বের আলোচনায় অনুযায়ী প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করা।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ আগমনকে কেন্দ্র করে গত মার্চের ২৫, ২৬ ও ২৭ তারিখ দেশজুড়ে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, অন্তত ১৭ জন মানুষের প্রাণহানি হয়। এসব নাশকতার পেছনে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্তত এক ডজন হেফাজত নেতা গ্রেফতার রয়েছেন।
এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ জনতার হাতে ধরা পড়েন। এতে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়ে হেফাজত।
সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা শুরু থেকেই সমঝোতার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা গোয়েন্দা সংস্থা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ইতিমধ্যে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও নুরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতে ইসলামের বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।