ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।আজ সকালে দলটির নেতারা শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে এতে অংশ নেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে, ১৮৯৯) কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম। বাবা কাজী ফকির আহমেদ ছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম। শৈশব থেকেই অভাব-অনটন ছিল নিত্যসঙ্গী। জীবিকার দায়ে ঠেকেছিলেন শৈশবেই।
লেটো দলের বাদক, রেল গার্ডের খানসামা, রুটির দোকানের শ্রমিক—এভাবেই পেরিয়ে গেছে তাঁর শৈশব-কৈশোর। ঘটনাবহুল ছিল তাঁর জীবন। পরে কাজ করেছেন সৈনিক হিসেবে। সাংবাদিকতা করেছেন। কাজ করেছেন এইচএমভি ও কলকাতা বেতারে।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে পথে নেমেছেন। পাশাপাশি সাহিত্য সাধনা তো ছিলই। শাসকের কোপানলে পড়েছেন, কারারুদ্ধ হয়েছেন, কিন্তু নত হয়নি নজরুলের উচ্চ শির।
‘চির উন্নত মম শির’ বলে কাজী নজরুল ইসলাম সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে।
কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা ও কূপমণ্ডূকতার বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার। নির্ভীকচিত্তে গেয়েছেন মানবতার জয়গান। দারিদ্র্যের কশাঘাত সহ্য করেছেন, ভোগ করেছেন নির্যাতন-নিপীড়ন; কিন্তু ব্যক্তিগত লোভ-লাভ-খ্যাতির মোহের কাছে কখনো আত্ম-বিক্রি করেননি। নিজের বিশ্বাস ও চেতনার জায়গায় থেকেছেন অনড়, আপসহীন।