করোনা ভাইরাসের মহামারি পুরো সামলে ওঠার আগেই নতুন আতঙ্ক হচ্ছে মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ভারতে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ছড়িয়েছে এই রোগটি। ইতিমধ্যে একে মহামারিও ঘোষণা করেছে দেশটি।বাংলাদেশেও দুইজন কোভিড রোগীর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর এই রোগটি নিয়ে সতর্ক বার্তা জারির কিছুদিনের মধ্যে রোগটি শনাক্ত হয়।
মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যাদের কোভিড হয়নি, তাদেরও কি এই রোগ হওয়া সম্ভব? চিকিৎসকদের মতে, সম্ভব। যে কোনও ব্যক্তির রক্তে শর্করা মাত্রা খুব বেশি থাকলে, তাকে সতর্ক হতে হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার সূত্রে ভারতীয় চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত জানান, যে কোনও ডায়াবেটিক রোগীর যদি অন্য কোনও গুরুতর অসুখ হয়, তা হলে এই রোগ হওয়া সম্ভব। কোভিড হওয়ার আগেও আমি ৪ থেকে ৫ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রোগীর চিকিৎসা করেছিলাম। কিন্তু সেটা বহু আগে। এই রোগ তেমন দেখা যেত না। তবে কোভিড আসার পর থেকে দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের ঝুঁকি বেশি।
চিকিৎসক ভি কে পল এ বিষয়ে জানিয়েছেন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং অন্য কোনও গুরুতর রোগ একসঙ্গে হলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সেটা কোভিড হোক বা নিউমোনিয়া। রক্তে শর্করা মাত্রা যদি ৭০০-৮০০ ছুঁয়ে যায়, তা হলে আমরা সেটাকে ডাক্তারি ভাষায় কিটোঅ্যাসিডোসিস বলে থাকি। সে রকম পরিস্থিতিতে বাচ্চা বা বড়, যে কোনও বয়সের মানুষের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হতে পারে।
কোভিডের চিকিৎসায় প্রচুর পরিমাণে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হচ্ছে রোগীদের উপর। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হওয়ার পিছনে সেটাও একটা বড় কারণ হয়ে উঠেছে জানিয়েছেন তিনি।