বাংলাদেশের পাসপোর্টে আগে লেখা ছিলো শুধু মাত্র ইসরাইল ছাড়া এই পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিশ্বের সব দেশেই ভ্রমণ করা যাবে। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট থেকে ইসরাইলের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। আর ইসরাইলের নাম বাদ দেয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ঢাকায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। তিনি আশা করেন, বাংলাদেশ তার নাগরিকদের পাসপোর্ট আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেবে।গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত একথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানা যায়, মাস ছয়েক আগে বাংলাদেশ সরকার ই-পাসপোর্ট থেকে ইসরাইলের নাম বাদ দেয়। যদিও সরকার বলছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের ইসরাইল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। এই পরিবর্তন করা হয়েছে পাসপোর্টের আন্তর্জাতিক মানের স্বার্থে।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান জানান, তিনি অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জের কাছে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন। এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতকে আবারও আশ্বস্ত করেন যে বাংলাদেশের মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন অটুট আছে এবং থাকবে।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের পাসপোর্টে পরিবর্তনের প্রসঙ্গটি এমন এক সময়ে এল, যখন গাজা ও এর আশপাশের এলাকায় নৃশংসতা অব্যাহত রয়েছে। এটা হওয়া উচিত ছিল না। কারণ, ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর হাতে লেগে থাকা ফিলিস্তিনি শিশুদের রক্ত এখনো শুকায়নি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পাসপোর্টের এই পরিবর্তন তো ইসরাইলের জন্য উপহার। খুশি হয়েই তো ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টুইট করেছে। এই সিদ্ধান্তে ভুল বার্তা গেছে।
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত। পাসপোর্টে পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ সরকার যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তার সঙ্গে একমত নন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত।