পটুয়াখালীর গলাচিপায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কম পক্ষে দুই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে ৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া আরও ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শতাধিক মাছের ঘের প্লাবিত হয়ে কয়েক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদ-নদীর পানি ৫ থেকে ৬ ফুট বৃদ্ধি পায়। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের বাহিরে আরও ৭ থেকে ১০টি গ্রাম ও নিম্নাঞ্চাল প্লাবিত হয়েছে। গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ প্রবল স্রোতে ছিড়ে চরকাজল লঞ্চ ঘাটসহ ছোট চরকাজল, বড় চরকাজল, ছোটশিবা প্লাবিত হয়েছে।
রতনদি তালতলী ইউনিয়নের বদনা তলী পয়েন্টে এবং ডাকুয়া ইউনিয়নের তেতুলতলা বাজার সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের বাহিরে চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চর বাংলা, চর নজির, গলাচিপা শহরের আড়তপট্টি, কুটিয়াল পাড়া, তালেব নগর আবাসন প্রকল্প, পেয়ারা বাগান, কলাবাগান, গলাচিপা সদর ইউনিয়নের পক্ষিয়ার চর, চর কারফারমা, পানপট্টি ইউনিয়নের পানপট্টি লঞ্চঘাট, সন্নিরবান, গ্রামর্দ্দন প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. হুমায়ুন কবির, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মু. শাহীন শাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেন বুধবার দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে বদনাতলী ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।