ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে বুধবার সকালে তলিয়ে গেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম রামনাবাদ নদীর ফেড়িটি। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এদিকে গলাচিপা শহরের আড়তপট্টির বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোয়ারের পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন চরকাজল ও চরবিশ্বাসের বিভিন্ন পয়েন্টে ওয়াবদা বেড়িবাঁধ ছিড়ে জোয়ারের পানিতে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গলাচিপা উপজেলার একমাত্র যোযোগ মাধ্যম রামনাবাদ নদীর ফেড়িটির গ্যাংওয়ে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে সকল প্রকারের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে করে নদীর দু’ পাড়ে শত শত যানবাহন আটকে আছে। ফলে পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের হাট-বাজারের মালামাল বোঝাই পণ্য পরিবহন যথাসময়ে না পৌছালে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে। এদিকে পৌর শহরের আড়তপট্টির বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোয়রের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ধান, চাল, মরিচ, ডাল, বাদাম, সিমেন্টসহ বিভিন্ন মনোহরী পণ্য ভিজে গিয়ে ব্যাবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আড়তপট্টির রড-সিমেন্ট ব্যাবসায়ী মুশফিকুর রহমান রিচার্ড বলেন, ‘আজ সকাল থেকেই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমার দোকানে পানি ডুকে পড়ে।
কোন মালামাল অন্যত্র সরাতে পারিনি। এতে আমার দোকানে থাকা রড, সিমেন্ট, সাবানসহ বিভিন্ন মালামাল জোয়ারের পানিতে ভিজে যায়।’গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, ‘বুধবারও ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পৌর শহরের আড়তপট্টিতে বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ডুকেছে। তাদেরকে খাদ্য সহায়তা দেয়া ছাড়া আমাদের হাতে আপাতত কিছু নেই।’