সাতসকালের ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রাজধানীর রাস্তাঘাট ও অলিগলি। পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। মঙ্গলবার (১ জুন) ভোর থেকে রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হয়। মাঝে কিছু সময়ের জন্য থামলেও সকাল পৌনে সাতটার দিকে মুষলধারে চলে বৃষ্টি।বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন কর্মজীবী মানুষ। সড়কে পানি জমে থাকায় এবং গণপরিবহন ও রিকশা সংকটে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। বৃষ্টি ও হাঁটু পানির মধ্যেই অনেককে কর্মস্থলের উদ্দেশে যাত্রা করতে দেখা গেছে।
এদিকে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। বৃষ্টি বা বৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। দক্ষিণ/দক্ষিণপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে, যা ৩০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া আকারেও বয়ে যেতে পারে। ঢাকার বাতসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৯১ শতাংশ।
আজ সকাল ৮টার দিকে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. আরিফ হোসেন বলেন, থেমে থেমে রাজধানীতে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানেও বৃষ্টি হচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টা সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পাঁচ দিনের বর্ধিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমীবায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।
এদিকে রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।