মুসলমানদের ইবাদতের পবিত্র জায়গা হচ্ছে মসজিদ।এই মসজিদকে বলা হয় আল্লাহর ঘর।আর এই পবিত্র মসজিদ নিয়ে তৈরী হয়েছে গ্রামের মুসল্লীদের মধ্যে দলাদলি। চান্দিনার সুহিলপুর ইউনিয়নের শালিখা গ্রামে এমন চিত্রই দেখা গেছে।মাত্র ৫ ফুট দূরত্বে তৈরী হয়েছে দুটি মসজিদ।যা ইসলামী শরীয়ার পরিপন্থী। তাছাড়াও একই সময়ে দুই মসজিদে নামাজের আহ্বানে মাইক দিয়ে আযান হয়।আবার একই সময়ে দুই মসজিদে জামা’ত অনুষ্ঠিত হয়।যা ইসলামি শরিয়াহ পরিপন্থি। এই দুই মসজিদকে কেন্দ্র করে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা নানা জনের মধ্যে আক্ষেপ ও সংঘাত।
শুক্রবার শালিখা গ্রামে গিয়ে জানা যায় পারিবারিক কলহের জের ধরে পুরাতন মসজিদের মুসল্লীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়।পরে এক পক্ষ বিদেশী অনুদান দিয়ে এই মসজিদের ৫ ফুট পশ্চিমে আরেকটি নতুন মসজিদ তৈরী করে।তখনই শুরু হয় দ্বন্ধ।নতুন তৈরি করা জামে মসজিদে স্থানীয় মুসল্লীদের নিয়ে গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে সকলের ঐক্যমত পোষনে নামাজ পড়ার সিন্ধান্ত হলেও কয়েকজন মুসল্লীর কপটতার কারনে ঐ সিন্ধান্ত ভেস্তে যায়। এ নিয়ে মুসল্লীরা ইসলাম ধর্মের প্রাণকেন্দ্র আল্লাহর ঘর মসজিদ নিয়ে এমন বাড়াবাড়ি ও রেসারেসির কার্যকলাপ বন্ধে সকলের সম্মলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই মহল্লায় শান্তি ফিরে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। কোনরকম রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা যেন না হয় গ্রামবাসী মিলে এর একটা সমাধান করা দরকার বলে মনে করে স্থানীয় মুসল্লীরা। সরেজমিনে দেখা যায় দুই মসজিদ সংলগ্ন ঘাটে ও অজুখানায় অজু করে কোন মসজিদে নামাজ আদায় করবে সেটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায় স্থানীয় মুসল্লীরা। এদিকে নতুন মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আজহারুল হক বলেন,
পুরাতন মসজিদের কাঠামো জরাজীর্ণ হওয়ায় এবং মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জায়গা সংকুচিত হলে বৈদেশিক অনুদানে মসজিদ কমিটি ও গ্রামবাসীর সর্বসম্মতিক্রমে পশ্চিম পাশে মসজিদের ওয়াকফকৃত জায়গায় নতুন মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এর ফলে একই আঙিনায় পাশাপাশি দুই মসজিদকে কেন্দ্র করে মুসল্লিদের মধ্যে এখন বাড়াবাড়ি ও রেসারেসির কার্যকলাপ সৃষ্টি হয়েছে।মহল্লার মানুষের মনে অশান্তি তৈরি হয়েছে।কোন রকম মর্মান্তিক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা যেন না হয় গ্রামবাসী ও প্রশাসনিক সহায়তায় এর একটা স্থায়ী সমাধান করা দরকার বলে মনে করেন তিনি। এদিকে পুরাতন মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান সকলে মিলে একই ছাদের নিচে একটি মসজিদে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নামাজ আদায় করলে কারোও মধ্যে কোন ভ্রুক্ষেপ থাকবেনা। এ ব্যাপারে ৫ নং ওয়ার্ড শালিখা গ্রামের ইউনিয়ন সদস্য আবুবকর সিদ্দিক জানান সামাজিকভাবে মসজিদ কেন্দ্রিক দুপক্ষের মধ্যে একাধিক বার বসার পরও কোন সুরাহা পাওয়া যায় নাই।