বিএনপি অভিযোগ করেছে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির মাঝেই সরকার লকডাউন খুলে দিয়ে গণসংক্রমণের সুযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
আজ (রোববার) ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণের সময় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সরকার দোকানপাট খুলে দিয়েছে। সরকারের টাকা দরকার। মানুষের জীবন বাঁচানোর বিষয়টি সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। লকডাউন কার্যকর রেখে গণসংক্রমণ রোধ করা যেত। সরকার তা না করে আরো বিস্তার করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
এ সময় রিজভী বলেন, আমরা জনগণের মাঝে বিতরণের জন্য সরকারের কাছ থেকে ত্রাণ পাই না। তারপরও নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। ত্রাণ বিতরণ করছি। সারাদেশে ১৩ লাখ পরিবারকে বিএনপি´র পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে। বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা ত্রাণ সহায়তায় নেমেছে। কিন্তু সরকারের এটাও সহ্য হচ্ছে না। তাই করোনা পরিস্থিতির মাঝেও বিএনপি ছাত্রদল যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। হয়রানি করা হচ্ছে। যারা সত্য কথা বলছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে। অনেক সাংবাদিক, ব্লগার ডিজিটাল আইনে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দুর্যোগ মহামারীর সাথে দুর্ভিক্ষের সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, করণা মহামারীর পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশ সময় পেয়েছিল। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মার্চ তিনমাস আমরা সময় পেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার সে সময় মানুষকে সচেতন করেনি বা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তারা তাদের দলীয় কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত ছিল।
রিজভী বলেন, এখন গ্রামে-গঞ্জে পাড়া-মহল্লায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিক, ডাক্তার, পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা মারা যাচ্ছেন। গ্রাম জনপদে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। রংপুর কুড়িগ্রামসহ দেশের অন্যান্য স্থানে মানুষ খাদ্যের জন্য বিক্ষোভ করছে। এইরকম পরিস্থিতিতে জনগণের ঠাকায় টাকায় কেনা ত্রাণ গরীব অসহায় মানুষকে না দিয়ে আওয়ামী লীগের লোকেরা আত্মসাৎ করছে।