গলাচিপা-পানপট্টি সড়ক যেন মরণ ফাঁদ। এ সড়কটি রাঙ্গাবালী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের জনগনের প্রবেশদ্বার হিসাবে পরিচিত। খানা-খন্দে ভরা দক্ষিণ পানপট্টি থেকে গলাচিপা পৌরশহরের সীমান্ত পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়ক। সড়কের ছাল-বাকল ওঠে গেছে। অনেক স্থানে ইটের খোয়াও নেই। সড়ক নির্মানের সময় ব্যবহৃত বালুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। কিছু কিছু স্থানে খানা-খন্দ আছে যা হাটু সমান গভীর। সড়কে যাতায়াতকারী যানবাহন এ কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। আহত হয় যাত্রীরা।এদিকে দুই বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সংস্কার করে। দু’বছর না যেতেই সড়কটির এ বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
ওই সময়ের পর থেকেই সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করার জন্য তৎকালীন সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন আধা সরকারি পত্র সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রেরণ করেন। সড়কটি সংস্কারে দয়িত্ব ন্যাস্ত হয় সড়ক ও জনপথ বিভাগে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ আজ পর্যন্ত এ গুরুত্বপূর্ন সড়কটি উন্নয়নে কোন কাজই করেনি। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ মো. সান মোকাদ্দেস জানান, উর্ধ্বতন কতর্ৃপক্ষ বরাবরে এ সড়কটি উন্নয়নে চিঠি দেয়া হয়েছে। অতি দ্রুত সড়কটি উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। সড়কটি নির্মাণের ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার জানান, গুরুত্বপূর্ন এ সড়কটি নির্মান অত্যন্ত জরুরী। এ ব্যাপারে একাধীকবার সড়ক ও জনপথ বিভাগকে তাগিদ দেয়া সত্বেও কোন অগ্রগতি নেই।
এ সড়ক দিয়ে গলাচিপা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ছাড়াও রাঙ্গাবালী উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন চরমোন্তাজ, ছোটবাইশদিয়া, বড়বাইশদিয়া, চালিতাবুনিয়া, রাঙ্গাবালী সদরের মানুষ-জনের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। এ জন্য সড়কটি রাঙ্গাবালী উপজেলার মানুষের কাছে এক সময়ের উপজেলা গলাচিপা, জেলা সদর পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের প্রবেশ দ্বার হিসাবে বিশেষভাবে পরিচিত। এক দশক আগে রাঙ্গাবালী উপজেলা স্থাপন হলেও ওই খানে এ পর্যন্ত সাব-রেজিষ্ট্রার্ড অফিস, প্রাণিসম্পদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দফতর এখনও নির্মিত হয়নি।
এ কারনে স্বাস্থ্যসেবা, জমি বেচাকেনার ও অন্যান্য দফতরের কাজের জন্য গলাচিপা উপজেলা সদরে আসতে হয়। এ সড়ক দিয়ে আসতে যেতে যাতায়াতকারীদের এতোই ভোগান্তী পোহাতে হয় যা বর্ণনাতীত। বিশেষ করে এম্বুলেন্সে যাতায়াত করতে রোগীদের চরম ভোগান্তী পোহাতে হয়।