পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের বড় গাবুয়া গ্রামের ফুলভানু বেগম (৬৫) এর পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। অন্যের বাসায় আশ্রিত থেকে চলছে তাদের বসবাস। জানা যায়, গোলখালী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের মৃত কাদের প্যাদার স্ত্রী ফুলভানু বেগম। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪ জন। ফুলভানু বেগম মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তার কোন ছেলে না থাকায় মেয়েকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।
স্বামী অসুস্থ থাকার সময়ে তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে বিক্রি করতে হয় সহায় সম্বল। স্বামী মারা যাওয়ায় এখন তিনি দিশেহারা। বয়স হয়ে যাওয়ায় এখন তিনিও আগের মত কাজ করতে পারছেন না। থাকেন অন্যের বাড়িতে একটি কুঁড়ে ঘর তৈরি করে। এ বিষয়ে ফুলভানু বেগম জানান, আমার জন্মের পরেই দরিদ্র পরিবারে হাতাশা লেগে রয়েছে।
বাবা ছোট বেলায়ই মারা যান। মা অনেক কষ্ট করে বিবাহ দিয়েছিল। স্বামীও দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার সময়ে জায়গা জমি বিক্রি করতে হয়েছে। আমার কোন ছেলে না থাকায় আমাকে ধরতে হয় সংসারের হাল। বয়স হয়ে গেছে এখন আর কাজ করতে পারি না। আমার নেই কোন জায়গা জমি, নেই কোন ঘর।
তিনি আরও বলেন, শুনেছি শেখ হাসিনা আমাদের গরীবদের নাকি ঘর দেয়। যদি আমি একটি ঘর পেতাম তাহলে বাকি জীবনটা সুখে কাটাতে পারতাম। কুঁড়ে ঘরে আর থাকতে হত না। থাকত না বৃষ্টির ভয়। এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়নের মেম্বর আ. রব মৃধা বলেন, আসলেই ফুলভানু বেগম অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারীভাবে তারা একটি ঘর পেলে পরিবারটির অনেক উপকার হত।