ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যে বাধা দিলে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ করা। জাতিসংঘে নিযুক্ত ভেনিজুয়েলার স্থায়ী প্রতিনিধি স্যামুয়েল মোনকাডা এমন কাথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য করার এবং জাহাজ চালানোর পূর্ণ অধিকার সংরক্ষণ করে তার দেশ।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সোমবার রাশিয়ার নিউজ চ্যানেল ‘রাশাটুডে’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রত্যয় জানান তিনি।
তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য করে আমরা কোনো ভুল করছি না এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আমাদের স্বাধীন বাণিজ্যিক লেনদেন হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার আমেরিকার নেই।
ইরানের পরিশোধিত তেলবাহী পাঁচটি জাহাজের মধ্যে ফরচুন ও ফরেস্ট নামের দুটি জাহাজ ভেনিজুয়েলায় নোঙর করার পর এসব কথা বললেন ভেনিজুয়েলার এই শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক।
তিনি বলেন, যারা আমাদের বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ করে দিতে চায় তাদের জানিয়ে দিতে চাই তাদের যেকোনো পদক্ষেপ যুদ্ধ ঘোষণা ও আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
ভেনিজুয়েলা তেলসমৃদ্ধ দেশ হলেও সাম্প্রতি দেশটির তেল শোধানাগারগুলো অচল হয়ে পড়ার কারণে পরিশোধিত তেলের অভাবে পড়ে দেশটি। এ অবস্থায় সম্প্রতি দুদেশের ওপর আমেরিকার অবৈধ ও একতরফা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইরানের পাঁচটি তেল ট্যাংকার ভেনিজুয়েলার জন্য পরিশোধিত তেল ও তেলজাত পণ্য নিয়ে দেশটির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
এ খবর পাওয়ার পর মার্কিন সরকার গত ১৪ মে হুমকি দেয়, ইরানের তেল ভেনিজুয়েলায় সরবরাহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে ওয়াশিংটন। কোনো কোনো পশ্চিমা গণমাধ্যমে এ খবরও প্রকাশিত হয়, ইরানি তেল ট্যাংকারকে বাধা দিতে আমেরিকা ক্যারিবীয় সাগরে নৌবাহিনী পাঠিয়েছে।
কিন্তু এসব হুমকি সত্ত্বেও এরইমধ্যে ইরানের দুটি ট্যাংকার ভেনিজুয়েলায় পৌঁছেছে। এ সম্পর্কে ফ্রান্সের ইংরেজি ভাষার নিউজ চ্যানেল ‘ফ্রান্স২৪’ এক বিশ্লেষণে বলেছে, ইরান ভেনিজুয়েলায় তেল ট্যাংকার পাঠিয়ে শক্তিমত্তার অবস্থান থেকে আমেরিকাকে বার্তা পাঠিয়েছে এবং এসব ট্যাংকার ভেনিজুয়েলায় পৌঁছাতে শুরু করায় আমেরিকার দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে।