ভাই বোনের জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে চাচাকে রুহুর আমিন মীর (ধলাই) (৪৫)কে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ব্রিজবাজার এরাকায়।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে বলে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের পাড় ডাকুয়া গ্রামের চান্দু মীরের ছেলে জসিম মীর ও মেয়ে হেলেনা বেগমের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এ বিরোধ মিমাংসার জন্য শুক্রবার সকালে পূর্ব নির্ধারিত শালিস বৈঠক বসে। কাগজ পত্র দেখার পর শালিস বৈঠক পরবর্তী তারিখের জন্য বিরতি দেয়। এর কিছুক্ষণ পরেই ডাকুয়া ব্রিজ বাজারে জসিম মীরের ছেলে মিরাজ (২৮), জসিম মীরার নেতৃত্বে ডাকুয়া ব্রিজ বাজারে জসিমের চাচাতো ভাই রুহুল আমিন মীর ওরফে ধলাই মীরকে তার (রুহুলের চায়ের দোকান) দোকানের সামনে এলোপাথারি পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করে।
এসময় এ ঘটনার পুরো নেতৃত্ব দেয় মিরাজ ও তার বাবা। এসময় রুহুলের ডাকচিৎকারে লোকজন ছুটে আসে তাকে উদ্ধার করে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় লেবুখালী ফেরিঘাটে রুহুলের মৃত্যু হয়।
এ বিষয় জসিম মীর ও বোন হেলেনা বেগমের বিরোধের নিষ্পত্তির জন্য শালিস বৈঠকের প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ধলা বলেন, ‘শালিস বৈঠকের এক পর্যায়ে সবাই নাস্তা করার জন্য ব্রিজ বাজারে রুহুলের দোকানে বসি। এসময় জসিম মীরের ছেলেসহ অনেক লোকজন এসে রুহুলের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।
আমি বাধা দিলেও কেউ শুনেনি।’ এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আনোয়ার বলেন, রুহুলের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।