পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের উত্তর চরবিশ্বাস গ্রামের সুচিত্রা রানী (৩৬) এর পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। অন্যের বাসায় আশ্রিত থেকে চলছে তাদের বসবাস। জানা যায়, চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের গকুল দাসের স্ত্রী সুচিত্রা রানী। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন।
সুচিত্রা রানী মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তার কোন দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। স্বামী দিন মজুরের কাজ করছেন। বড় সংসারের ব্যায় বেশি কিন্তু আয় তেমন নেই। প্রতিদিন কাজ না থাকায় সংসারে অভাব অনাটন লেগেই আছে। তারা অন্যের বাড়িতে আশ্রিত হিসেবে একটি কুঁড়ে ঘর তৈরি করে থাকেন।
এ বিষয়ে সুচিত্রা রানী জানান, আমার স্বামীর দরিদ্র পরিবারে হাতাশা লেগে রয়েছে। আমার স্বামী অন্য মানুষের সাথে কাজ করেন। বর্ষা মৌসুমে কাজ থাকে না বলে অনেক সময় ঘরেই বসে থাকতে হয়। কিন্তু অনেকগুলো মানুষের পেট খাবার তো লাগেই। আমরা অন্য মানুষের বাড়িতে একটি ভাংগা ঘরে থাকি। আমার স্বামীর তেমন টাকা পয়সা না থাকায় জায়গাও কিনতে পারি না আবার ঘরও তুলতে পারি না।
আমার নেই কোন জায়গা জমি, নেই কোন ঘর। তিনি আরও বলেন, শুনেছি শেখ হাসিনা আমাদের গরীবদের ঘর দিতেছেন। যদি আমি একটি ঘর পেতাম তাহলে বাকি জীবনটা সুখে কাটাতে পারতাম। কুঁড়ে ঘরে আর থাকতে হত না। থাকত না বৃষ্টির ভয়। এ বিষয়ে চরবিশ্বাস ইউপি সদস্য নেসার মিয়া বলেন, আসলেই সুচিত্রা রানী অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারীভাবে তারা একটি ঘর পেলে পরিবারটির অনেক উপকার হত।
এ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন বাবুল মুন্সি বলেন, আসলেই সুচিত্রা রানীর পরিবারটি অসহায়। তাদের একটি ঘরের দরকার। উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. নিজামউদ্দিন মোল্লা বলেন, সুচিত্রা রানীর পরিবারটি মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের পরিবার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার একটি ঘর পেলে উপকৃত হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, আবেদন পেলে যাচাই বাছাই করে দেখা হবে।