আধিপত্য বিস্তার, দলীয় কোন্দল ও পূর্ব শক্রতার জেরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুর ইউনিয়নে আ’লীগের দুই প্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংষর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছে এবং দু’টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার আমান উল্যাপুর ইউনিয়নের আমান উল্যাপুর বাজার সংলগ্ন পালোয়ান বাড়ির সামনে এ সংষর্ষের ঘটনা ঘটে।
ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান মাহমুদ গ্রুপ ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা খোকন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা খোকন অভিযোগ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান গ্রুপ মদদে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মহেশপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে পারভেজ (২৭), ৪ নং ওয়ার্ডের আইয়ুবপুর গ্রামের সফি উল্যাহর ছেলে মিজানুর রহমান পলাশ (২৬), ৮ নং ওয়ার্ডের জয়নারায়ণপুর গ্রামের আবু ছায়েদের ছেলে হৃদয় (২২), ৮ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম জয়নারায়ণপুর গ্রামের নওশাদ ভ‚ঞার ছেলে মো. নিশাত (২৫)।
গুলিবিদ্ধ ৪ যুবক নোয়াখালী জেনারেল হাসপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত এবং গুলিবিদ্ধরা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান মাহমুদের অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকনের অনুসারীরা ১৫/২০টি মোটরসাইকেলের একটি বহর নিয়ে খোকনের বাড়ি যাওয়ার পথে সভাপতি আরিফুর রহমান অনুসারীরা পিছনের কয়েকটি মোটরসাইকেলকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা মোটরসাইকেলের বহর থেকে সভাপতির অনুসারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয় এবং অন্তত ৭/৮ জন আহত হয়। এ সময় সভাপতির অনুসারীরা পাল্টা ধাওয়া করলে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা ২টি মোটরসাইকেল ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যায়।
বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গুলিবিদ্ধ ৪ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি গ্রুপের লোক। অপরদিকে, সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের ৩ জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি