সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) থেকেঃ
পটুয়াখালীর সদর দক্ষিন ধরান্দী সার্বজনীন শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ্র সেবাশ্রমটি স্থাপিত হয়েছে ১৯৫০ খ্রিঃ পটুয়াখালী নিবন্ধন নং-পটুয়া/২০ তারিখঃ ২৫.১০.২০১১ হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্ট।
শ্রী শচীনন্দন গোস্বামী ব্রজবাসী’র ১৭তম তিরোধান বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২৪ প্রহর ব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানাম সংকীর্তন উপলক্ষে গত ১৩ মাঘ ২৮ জানুয়ারী ২০২০ ইং মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় শ্রী মদ্ভাগবত পাঠ, রাত সাড়ে ৮ টায় পদবলী কীর্ত্তন, ২৯,৩০,৩১ জানুয়ারী ২০২০ বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার বৃহস্পতিবার শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম মহা সংকীর্তন উৎসব। শান্তির ধরনীতে অশান্তির অশনি সংকেত শংকিত করে তুলেঝে মাহবাত্মা।
পৃথিবীর সর্বত্রই ক্ষুধা, দারিদ্র, হিংসা, বিদ্বেষ, সংঘাতের প্রতিধ্বনি। আত্ম বিস্মৃত জীব আমরা কর্মচক্রের আবর্তে শূণ্য হতে এই জগতে এসে মায় মুগ্ধ হয়ে ভাঙ্গনের কুলে ঘর বাঁিধি। মায়র কুহকে পড়ে এই সংসারে আমরা “চির আপন জনকে” পর ভেবে ক্ষণিকের জন্য হাসি, কাঁদি, নাচি ও গাই। আবার দুদিন পরে শূণ্য হাতেই চলে যাই এ ধারার বুক থেকে পাথের কিছুই থাকেনা, কিন্তু কর্মফল ভোগ করতে পূনঃপূনঃ এই জগতে যাতায়াত করতে হয়।
তাই সাধু কৃপা বিনে আর নাহিকো উপায়, সেইজন্য বিশ্ব শান্তি কল্পে জীবের দুঃখ মোচনের ও শান্তি অর্জনের জন্য পতিত উদ্ধারণ শ্রী মদ্ভাগবত পাঠ ও মহানাম সংকীর্ত্তনের আয়োজন করিয়াছি। গত বুধবার সকাল থেকে পটুয়াখালী সদর দক্ষিন ধরান্দী বাখর খাঁ গ্রামে শ্রী শচীনন্দন গোস্বামী ব্রজবাসী’র আঙ্গিনায় ৩ দিন ব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম কীর্তন এর আয়োজন করেন।
শ্রী শচীনন্দন গোস্বামী ব্রজবাসী’র মন্দিরের পক্ষে প্রফেসর বাবু তপন কুমার দাস প্রতিবেদককে বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ও ৩ দিন কীর্তন চলছে এবং দূর দূরান্ত থেকে ভক্তদের তিন বেলা প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নিমাই দাস বলেন, শনিবার ভোগরাগের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘটবে।