নিউজ ডেস্ক
নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর সূচনা চীনের উহানে। তবে ৭৬ দিনের কঠোর লকডাইনের পর শহরটিপুরোপুরি করোনামুক্ত হয় । গত এপ্রিলে লকডাউন তুলে নেয়া হয়। স্বাভাবিক জীবনে ফিরেন উহানবাসী। তবে এ অর্জন বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি শহরটি। মে মাসে উহানে দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়।
এরপর থেকে নতুন করে মহামারী ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে উহানে বড় পরিসরে করোনা পরীক্ষা শুরু করে কর্তৃপক্ষ। এর অংশ হিসেবে গত ১২ দিনে চীনা শহরটিতে প্রায় ৬৭ লাখ মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য বিশ্লেষন করে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, চীনের উহান শহরে দ্বিতীয় দফায় করোনা মহামারী ছড়িয়ে পরার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে শহরটিকে নতুন করে ২০৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগের কোন উপসর্গ ছিল না। এভাবে উপসর্গবিহীন রোগী পাওয়া যাওয়ায় উহানে নতুন করে করোনা ভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের নতুন করে বিস্তার ঠেকাতে উহানের সব মানুষের করোনা পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। মূলত এ
উদ্যোগের অংশ হিসেবে গত ১২ দিনে উহানে অন্তত ৬৬ লাখ ৮০ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শহরটিতে ১ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করেন। পর্যায়ক্রমে তাদের সবার করোনা পরীক্ষা করা হবে।
উল্লেখ্য, চীন থেকে শুরু হয়ে গত পাঁচ মাসে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে নভেল করোনাভাইরাস। জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, চলমান বৈশ্বিক মহামারীতে চীনে এখন পর্যন্ত ৮৪ হাজার ১০২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৮ জন।