পটুয়াখালীর গলাচিপায় সরভানু বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধা নারীর মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সরভানু বেগম হচ্ছেন উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের বড় গাবুয়া গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল জলিল চৌকিদারের স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী ইব্রাহিম চৌকিদারের মাতা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে বড় গাবুয়া গলাচিপা-গাজীপুরা সড়কের উপর।
এলাকাবাসী জানান, গলাচিপা হরিদেবপুর থেকে গাজীপুর যাওয়ার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটর সাইকেলে এ দূর্ঘটনা শিকার হন সরভানু বেগম। পরে এলাকাবাসী সরভানু বেগমকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মেজবাহউদ্দিন বলেন, সরভানু বেগমের সারা শরীরে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। তার বাম পা ভেঙ্গে যায় এবং মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে।
তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সরভানু বেগমের প্রতিবন্ধী ছেলে ইব্রাহিম চৌকিদার বলেন, আমি একজন প্রতিবন্ধী। আমার দুটো হাত নেই। আমার মা দূর্ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে। টাকার অভাবে মায়ের চিকিৎসা হচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, আমাদের একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুলাল গাজীর ছেলে সোহেল গাজী (২৫) আমার মায়ের গায়ের উপর মোটর সাইকেল উঠিয়ে দিয়েছে। অদ্যবধি আমার মাকে একটু দেখতেও আসেনি। আমি এখন কী করব ভেবেই পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে সরভানু বেগমের বড় মেয়ে কুলসুম বেগম বলেন, আমার মায়ের সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ মোটর সাইকেল চালককে দিতে হবে। আমার মা মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
তার যদি কিছু হয় তার দায়ভার মোটর সাইকেল চালককে নিতে হবে বলে তিনি জানান। এ বিষয় নিয়ে মোটর সাইকেল চালক সোহেল গাজীর বাবা দুলাল গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। রোগীকে দেখে এসেছি।
তাদেরকে দুই হাজার টাকা দিয়েছিলাম। আমার টাকা তারা ফিরিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে ৩ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, মোটর সাইকেল দূর্ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, উভয় পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে সুষ্ঠ সমাধানের ব্যবস্থা করব। গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।