প্রায় নয় মাস বন্ধ থাকার পর আবারও চীনে কাঁকড়া রপ্তানি শুরু হয়েছে। চীনের দেয়া বেশকিছু শর্ত পূরণের পরই গত ২ জুন থেকে আবারও নতুন করে এই রপ্তানি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নিয়াজ উদ্দিন।
তিনি জানান, নতুন করে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করেছে চীন। এর মধ্যে চীনে পাঠানো হয়েছে কাঁকড়া ও কুচিয়ার ৩৪টি চালান।
তিনি আরও জানান, রপ্তানি করা কাঁকড়া ও কুচিয়ায় সীসা ও ক্যাডমিয়াম ধরা পড়ার পর ২০২০ সালের জুনে চীন কিছু শর্ত আরোপ করে। তখন মৎস্য অধিদপ্তরের ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষা করে সার্টিফিকেট ইস্যু করার মাধ্যমে রপ্তানি সচল করা হয়। পরে সেপ্টেম্বরে এক রপ্তানিকারক জাল সার্টিফিকেট দিয়ে ধরা পড়ার পর রপ্তানি আবার বন্ধ হয়। বিএম ট্রেডার্সকে এ জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
চীনের সব শর্ত পূরণের পর নতুন করে রপ্তানি শুরু হয়েছে জানিয়ে নিয়াজ উদ্দিন বলেন, আগে চীনের এ ধরনের টেস্ট রিকোয়ারমেন্ট ছিল না। ফলে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার ছাড়াই যে কেউ চায়নায় কাঁকড়া ও কুচিয়া রপ্তানি করতে পারতেন। তাদের নতুন শর্ত অনুযায়ী এখন ইংরেজি ও চীনা ভাষায় সার্টিফিকেট দিতে হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান বলেন, চীনের পক্ষ থেকে কিছু সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছিল। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে এখন আর রপ্তানিতে বাধা নেই।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলারের কাঁকড়া রপ্তানি হলেও পরের বছর ২০২০-২০২১ অর্থবছরে তা ১২ মিলিয়ন ডলারে নামে।
হংকং, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, জাপান, মালয়েশিয়াসহ আরও কিছু দেশে কাঁকড়া রপ্তানি হলেও মূল বাজার চীন। চীনের বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রভাবে সামগ্রিক রপ্তানি ৫০ শতাংশ কমে যায়।