December 24, 2024, 4:01 pm

দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে জনস্রোত

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : Saturday, July 31, 2021,
  • 81 Time View

গণপরিবহন বন্ধ। রোববার থেকে খোলা থাকবে রপ্তানিমুখি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান মালিকদের কঠোর নির্দেশ। রোববার কাজে যোগ দিতে হবে। সুতরাং কাজ রক্ষাতে, কাজে যোগ দেওয়ার জন্য ছুঁটছে কর্মমুখি মানুষ।

মহাসড়কে গণপরিবহন না থাকায় পায়ে হেঁটে, ট্রাক, অটোটেম্পু সহ ইঞ্জিন চালিত যানবাহনে ওপর নির্ভর করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মমুখি হচ্ছে দক্ষিণ পশ্চিঞ্চলের ২১ জেলার সাধারণ মানুষ। গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

আজ শনিবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় গিয়ে ঘাট সংশ্লিষ্ট এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া হয়।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট অফিস সূত্রে জানা যায়, লকডাউন চলমান সময় পণ্যবাহী ট্রাক ও জরুরি যানবাহন নদী পারাপার করার জন্য ৩টি ছোট ও ৩টি বড় ফেরি পালাক্রমে চলাচল করছে। কিন্ত ঢাকামুখি যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ থাকার কারণে শনিবার সকাল থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৪টি ছোট বড় ফেরি চলাচল করছে। তবে এই নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এ সময় পাংশা থেকে ঢাকাগামী এক নারী বলেন, হঠাৎ অফিসের ফোন। মোবাইল ধরতে উপর পাশ থেকে বলা হলো রোববার অফিস। যেভাবে পারো ঢাকা চলে আসো। কিন্ত রাস্তায় তো গাড়ি নেই। তাহলে আমরা কিভাবে ঢাকায় যাব। বাধ্য হয়ে ভ্যানে পাংশা থেকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের উদ্দ্যোশে এসেছি। ভ্যান চালক পুলিশের ভয়ে ফেরি ঘাটের ৩কিলোমিটার দূরে নামিয়ে দেওয়ার কারণে পায়ে হেঁটে আসতো হলো।

তিনি আরও বলেন, দুর্ভোগের কথা কিভাবে বুঝাব। কোলের শিশু বাচ্চা নিয়ে অনিশ্চয়তার পথে। কখন, কিভাবে যাব এর নিশ্চয়তা নেই। এর চেয়ে দুর্ভোগ আর কি?

কামারখালী থেকে ঢাকাগামী এক পোশাক শ্রমিক বলেন, কর্ম বাঁচাতে ঢাকামুখি। ঘরে বসে থাকলে কি আর কর্ম থাকবে। সুতরাং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকার পথে। সকাল ৭টার সময় বাড়ি থেকে বের হয়েছি। এখন ১২টা, তবুও ফেরি পার হতে পারি নাই।

তিনি আরও বলেন, সহজে ফেরি পার হতে পারলেও পাটুরিয়া ঘাট থেকে কিভাবে যাব এই চিন্তা করছি।

কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী এক নারী বলেন, সরকারের এমন সিদ্ধান্ত সাধারণ ঢাকামুখি মনুষের দুর্ভোগ ছাড়া কিছু নয়। তিনি বলেন, ইচ্ছা করলে তো ঢাকায় চলে যাওয়া যায় না। রপ্তানীমুখি প্রতিষ্ঠান গুলো খুলে দেওয়া হলো এর সাথে গণপরিবহন খুলে দিলে ঢাকা মুখি মানুষের কষ্ট কিছুটা কমে আসতো।

নাসিফ নামের এক যাত্রী বলেন, সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। শুধু গণপরিবহন ছাড়া। সব কিছু যেহেতু খুলে দিলেন সেই সাথে গণপরিবহন খুলে দেওয়া প্রয়োজন ছিল। গণপরিবহন খুলে না দেওয়া ঢাকামুখি যাত্রীদের দুর্ভোগ ২/৩ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। সাথে অতিরিক্ত টাকাও ব্যয় হচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন জানান, রপ্তানিমুখি প্রতিষ্ঠান গুলো খুলে দেওয়ার কারণে দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকা মুখি যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। তবে ফেরি পারের অপেক্ষায় কোন প্রকার যানবাহন নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71