নোয়াখালীর সেনবাগে চিকিৎসার অভাবে মনোয়ারা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর সেনবাগ সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের ছেলে মো. দেলোয়ার ওরফে স্বপন (৩৫) এ অভিযোগ করেন। তিনি জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটায় শ্বাসকষ্ট ও হার্টের সমস্যা নিয়ে তার বৃদ্ধা মাকে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এ সময় জরুরি বিভাগ ও হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করা গেটে তালা ঝুলতে দেখে কর্তব্যরতদের ডাকাডাকি শুরু করেন তিনি।
এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি সেবা না দিয়ে বেসরকারি ক্লিনিক থেকে ইসিজি করে নিয়ে আসতে বলেন। ততক্ষণে তার মায়ের শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে সেনবাগ প্রেসক্লাব অক্সিজেন ব্যাংকের হটলাইনে ফোন করলে ওই বৃদ্ধাকে রাত পৌনে একটার সময় অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া হয়।
পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্বপন তার মাকে নিয়ে শহরের সেন্ট্রাল হসপিটালে নিয়ে আসেন। এখানে ডাক্তার না থাকায় ইসিজিসহ প্রয়োজনীয় সেবা না পেয়ে রাত একটায় আবারও সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্বরে নিয়ে আসেন।
তখন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে না নিয়ে একজন মহিলা চিকিৎসক সিএনজিতে থাকা বৃদ্ধাকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন। চরম অবহেলা ও চিকিৎসার অভাবে বৃদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগ এনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তার সন্তান স্বপনসহ উপস্থিত তার স্বজনরা।
এ ব্যাপারে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাহানারা আরজু জানান, রাত একটায় খবর পেয়ে বৃদ্ধাকে দেখেছি তার কার্ডিয়াক ও শ্বাসকষ্ট ছিলো। মুহূর্তের মধ্যে তিনি মারা যান।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, করোনাকালীন সময়ে জরুরি বিভাগের একটি গেটে তালা ছিলো। কর্তব্যরত চিকিৎসক খবর পেয়ে রোগীকে দেখতে আসেন।
নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, সেনবাগ সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনাকাঙ্খিত ঘটনায় সোনাইমুড়ীর ইউএইচএফপিও ডা. মইনুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।