সজ্ঞিব দাস,গলাচিপা, পটুয়াখালী।
গলাচিপায় বুধবার রাতে টর্নোডেতে বিদ্যুতের খাম্বার সাথে ঝুলে আছে চাল!
গলাচিপায় বুধবার রাতে দশমিনিটের টর্নোডেতে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে গলাচিপার গোলখালী ইউনিয়নের হরিদেবপুর, গাবুয়া পৌর এলাকার আড়ৎ পট্টি । টর্নেডোতে পৌর এলাকার আবাসিক হোটেল সৌরভের চিলে কোঠার চাল উপড়িয়ে প্রায় ৩০০ ফুট দূরে বিদ্যুতের খাম্বার সাথে ঝুলে আছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদুৎ সরবরাহ খাম্বা এবং তারে ওপর গাছ ভেঙ্গে পড়ে এতে পুরো এলাকায় বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থার বিপর্যয় ঘটে। এছাড়া বাড়ি-ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গাছ পালা লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। গলাচিপা উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন অফিস সূত্রে জানাগেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্র্র্র্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেনে জানান, গলাচিপার বিভিন্ন ইউনিয়নে টর্নেডোর আঘাতের ক্ষয় ক্ষতির তালিকা চেয়ারম্যানদের কাছে চাওয়া হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানরা এখন পর্যন্ত সে তালিকা জমা দেননি। প্রাথমিকভাবে জানাগেছে, গোলখালী ইউনিয়নের গাবুয়া ও হরিদেবপুর কিছু ঘর-বাড়ি, দোকান ও গাছ পালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গরাচিপা পৌর এলাকারও গাছ পালা ও ঘর বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ডাকুয়া ইউনিয়নের ডাকুয়া সালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে আংশিক ক্ষতি হয়েছিল কিন্তু বুধবার বয়ে যাওয়া টর্নেডোতে পুরোটাই বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকার কাঁচা ঘর বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এতে কত টকার ক্ষতি হয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি।
গলাচিপার গোলখঅলী ইউনিয়নের বড়গাবুয়া গ্রামের মো. হাসেম প্যাদা জানান, বুধবার রাতে সবাই ঘরে ছিলেন। হঠাৎ একটি ঝড়ে তাদের বসত ঘরটি বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে যায়। এ বিপর্যয় তারা কিভাবে মোকাবেলা করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আম্ফানের ক্ষতির রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার রাতে বয়ে যাওয়া টর্নেডোতে ৩০০ ফুট দূর থেকে টিনের চালা উড়ে গলাচিপা পৌর এলাকার পূবালী ব্যাংকের পাশের একটি বিদ্যুতের খুটিতে আটকে যায়। এতে বিদ্যুৎ ব্যাবস্থার বিপর্যয় ঘটে।