করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বাংলাদেশে ভারতের নিজেদের উদ্ভাবিত টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এ অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী গণমাধ্যমকে বলেন, বেশকিছুদিন আগেই কোভ্যাক্সিন টিকা দেশে ট্রায়ালের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং যুক্তির ওপর ভিত্তি করে আমরা এ অনুমোদন দিয়েছি। এই টিকার ট্রায়ালে আর কোনো বাধা নেই।
তিনি বলেন, ‘গত মাসে এ ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। থার্ড ফেজের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। থার্ড ফেজ হলো ইতোমধ্যেই এ টিকা মানবদেহে সফলতার সঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে। এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সংখ্যা যত বেশি বাড়ানো যায় তত প্রতিষ্ঠানের সুনাম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাড়ে। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে।’
করোনা মোকাবিলায় ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তি ও উদ্যোগে তৈরি প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র টিকা কোভ্যাক্সিন। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকার মূল উপাদান মৃত বা নিষ্ক্রিয় করোনাভাইরাস, যা নিরাপদে মানবদেহে প্রবেশ করানো যায়। ভারত বায়োটেককে মৃত করোনাভাইরাসের নমুনা সরবরাহ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি।
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যভিত্তিক ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক এ টিকার উদ্ভাবক। ২৪ বছরের পুরোনো প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক কোভ্যাক্সিন ছাড়াও এ পর্যন্ত ১৬টি টিকা প্রস্তুত করেছে এবং ১২৩টি দেশে সেসব টিকা রপ্তানি হয়।
চলতি বছর ৩ জানুয়ারি জরুরি প্রয়োজনে এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। তবে বাংলাদেশে কবে নাগাদ ট্রায়াল শুরু হবে, সেই বিষয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।