কথিত চলচ্চিত্র প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ওরফে রাজের বিরুদ্ধে তরুণীদের পর্নো ভিডিও রাখার অভিযোগ উঠেছে। রাজ পরীমণি ও পিয়াসার গডফাদার হিসেবেই পরিচিত। গ্রেপ্তারের পর রাজের মোবাইল ফোনে অসংখ্য তরুণীর পর্নো ভিডিও পাওয়া গেছে।
র্যাব বলছে, একেক সময় একেক পরিচয়ে চলাফেরা করেন পরীমণির গডফাদার হিসাবে পরিচিত নজরুল রাজ। কখনও চিত্রপরিচালক, কখনও ব্যবসায়ী আবার কখনও রাজনীতিবিদ। প্রতারণার মাধ্যমে তিনি অঢেল টাকার মালিক বনে গেছেন।
পরীকে গ্ল্যামার জগতে নিয়ে আসেন কথিত সিনে প্রযোজক নজরুল ওরফে রাজ নামের এক ব্যবসায়ী। সিনেমায় নাম লেখানোর আগে দীর্ঘদিন তার কাছেই থাকতেন পরী। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর নজরুল নিজের জেলার পরিচয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
নিজের জেলায় একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছেন। শহরের নতুন রেলস্টেশনের পাশে তার ৫ তলা আবাসিক হোটেলের নির্মাণ কাজ চলছে। এছাড়া ঠিকাদারি ব্যবসা রয়েছে তার।
নজরুল তার প্রতারণা ও পর্নো ব্যবসায় দুই তরুণীকে ব্যবহার করে আসছেন। এদের একজনের ডাক নাম সেমি এবং অপরজন কাঁকন। দুজনই তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী। এ দুই তরুণীকে দিয়ে তিনি ব্ল্যাকমেইলিংয়ের কাজ করতেন।
পাশ্চাত্য পোশাকে অভ্যস্ত সেমি এবং কাঁকনকে নিয়ে হাজির হতেন সরকারি কর্মকর্তাদের ফ্ল্যাটে অথবা বাসায়। একপর্যায়ে অনেকেই তাদের প্রেমে পড়ে যেতেন। যে কোনো মূল্যে তাদের সান্নিধ্য পেতে চাইতেন।
এমন দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরকারি কাজ বা তদবিরের টোপ ফেলতেন নজরুল। কোটি টাকা ঘুসের চেয়ে দ্রুততার সঙ্গে তার কাজ হয়ে যেত। এছাড়া এ দুই তরুণীকে ব্যবহার করে তিনি ক্যাসিনো সম্রাট ইসমাইল চৌধুরীর কাছাকাছি পৌঁছে যান।
ঠিকাদারি কাজের ডন হিসাবে পরিচিত জিকে শামীমের সঙ্গেও তার সখ্য গড়ে ওঠে। সম্প্রতি তিনি জিকে শামীমকে কারাগারে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিতে তদবির করছিলেন। শামীমের বোন সুবর্ণা মোস্তাফার সঙ্গে তিনি প্রতি সপ্তাহে নানা বিষয়ে শলা-পরামর্শ করেন।