সরকারের অনুমোদনের পর আগামী ৩১ মে রোববার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
কোন রুটে কয়টি ট্রেন চলবে, তার রোডম্যাপ এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে। এক সিটে যাত্রী ও এক সিট খালি-এই নিয়মে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রির ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
ট্রেন চালুর বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘৩১ মে থেকে ১৫ জুন শুধু আন্তঃনগর ট্রেন চালুর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।’
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী শনিবার দুপুরে রেলভবনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে ট্রেন চালুর বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, দুটি গ্রুপে ভাগ করে ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে প্রথমে ‘ক’ গ্রুপে রাখা ট্রেনগুলো ৩১ মে থেকে পরিচালনা করা হবে। এই ট্রেনগুলো হচ্ছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট রুটে কালনী এক্সপ্রেস, ঢাকা-বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন রুটে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, ঢাকা-রাজশাহী রুটে বনলতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে উদয়ন/পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-খুলনা রুটে চিত্রা এক্সপ্রেস।
‘খ’ গ্রুপে রাখা ট্রেনগুলো ৩ জুন থেকে পরিচালনা করতে সুপারিশ করা হয়েছে। এই ট্রেনগুলো হচ্ছে, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জবাজার রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি রুটে রূপসা এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী রুটে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোয়ালন্দ ঘাট রুটে মধুমতি এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে মেঘনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ দেশের অফিস-আদালত, তখন থেকে গণপরিবহণও রয়েছে বন্ধ।