পরীমণি ইস্যু এখন টক অব দ্যা কান্ট্রি। মাদককাণ্ডে গ্রেপ্তারের পর পরীমণি সম্পর্কে বেড়িয়ে আসছে আরও অনেক অজানা তথ্য। পরীমণির পাশাপাশি ক’দিন আগে গ্রেপ্তার কথিত মডেল পিয়াসা সম্পর্কেও বেড়িয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
এই দুজনই প্রায় একই ভাবে প্রভাবশালীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন টাকা। জানা গেছে, আরও এক ডজন মডেল-অভিনেত্রী রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে। আর এই সব মডেল-অভিনেত্রীদের গ্রেপ্তারের পর আতঙ্কে কমপক্ষে ২১ প্রভাবশালী ব্যক্তি।
জানা গেছে, পরী-পিয়াসাদের মতো মডেলদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো ওইসব প্রভাবশালীদের। দেশের বাইরেও এসব মডেলদের নিয়ে ‘প্লেজার ট্রিপে’ গেছেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে মডেলদের বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহার ও ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ রয়েছে। এদের গতিবিধি নজরদারিতে রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, মডেলদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এইসব প্রভাবশালীদের মধ্যে বিভিন্ন ব্যবসায়ীও রয়েছেন। রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল ও পার্টি হাউজে তাদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। এছাড়া ‘স্পা সেন্টার’সহ নামে-বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আড়ালে গুলশান-বনানীর ২৭টি স্থানেও প্রভাবশালীদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল।
সূত্রে জানা যায়, ওইসব প্রভাবশালীদের ঘন ঘন বিদেশ যাত্রার তথ্য পুলিশের ইমিগ্রেশন শাখা থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর একসঙ্গে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া ভ্রমণের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। দেশের বাইরে অবস্থানকালে তাদের অনেকের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ও স্থিরচিত্র এখন গোয়েন্দাদের হাতে।
উল্লেখ্য, গেল রোববার রাতে মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাদক আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাদের শুক্রবার আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এরপর রাজধানীর তিন থানার আলাদা তিনটি মাদক মামলায় পিয়াসার আট দিন ও মৌকে একটি মামলায় চার দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এর পরে গত বুধবার বিকেলে পরীমণিকে গ্রেপ্তারের পর মাদক মামলায় তাকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া তাদের সহযোগীদেরও আটকের পর রিমান্ডে নিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে নানা অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা তারও স্বীকারও করেছেন পরী।