পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় নেশা করায় বাঁধা দেওয়ায় ছয় বছরের নাতিনীকে দিয়ে বাড়ির চাচার বিরুদ্ধে যৌন নিপিড়নের মামলা করেছে রাসেল হাওলাদার। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৮ মে) রাসেল হাওলাদার বাবা বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় একটি যৌন নিপিড়নের মামলা দায়ের করেছেন। গত ২৩ মে গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে ঘটনা ঘটে। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, যৌন নিপিড়নের শিকার শিশুর বাবা রাসেল হাওলাদার প্রায়ই নিশা করে ঘুরে বেড়ায়। এতে রাসেল হাওলাদারের চাচা দেলোয়ার হাওলাদার বাঁধা প্রধান করে এবং রাসেল হাওলাদারকে বকাঝকা করলে রাসেল হাওলাদার উত্যক্ত হয়ে চাচার বিরুদ্ধে মেয়েকে দিয়ে যৌন নিপিড়নের মামলা দেয়। যার মামলা নং- ৩২ তারিখ ২৮/০৫/২০২০ ইং। এ বিষয়ে আসামীর স্ত্রী রশনে আরা বিবি বলেন, রাসেল হাওলাদার ও আমার স্বামী সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা এবং একই বাড়িতে থাকি। আমার পাশের ঘরেই রাসেল হাওলাদারের ঘর। সে প্রতিদিন আমার রান্না ঘরের পিছনে বসে নেশা করত। তার চাচা আমার স্বামী এ নিয়ে রাগারাগি করায় এবং বাঁধা দেওয়ায় রাসেল তার মেয়েকে দিয়ে আমার স্বামীর নামে থানা মিথ্যা মামলা দিয়েছে। রাসেল হাওলাদারের নামে গলাচিপা থানায় একাধিক মাদক মামলা আছে। রাসেলের বিরুদ্ধে আমাদের একই এলাকার হিন্দু সংকরী রানী বাদী হয়ে ২০১২ সালে ১টি ডাকাতি মামলা করেন এবং আদালতে মামলাটি এখনও চলমান আছে। যার মামলা নং- ১ তারিখ ০৪/১০/২০১২ ইং। এ বিষয় নিয়ে পাশের বাসার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হেলেনা বেগম বলেন, আসলেই জমি-জমা বিরোধের জেরে মেয়েকে দিয়ে মামলা। এ বিষয়ে আমখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির হাওলাদার বলেন, দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার একজন নামাজী ব্যক্তি, এলাকায় তার অনেক সুনাম আছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হয়রানী মামলাটি করা হয়েছে। প্রশাসন গোপনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে সব কিছু পেয়ে যাবে। এ বিষয়ে গলাচিপা থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, মামলার ভিত্তিতে আমরা শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছি। পরীক্ষার রিপোর্ট এলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা যাবে। তাছাড়া শিশুটিকে কোথায় গোপনে চিকিৎসা করানো হয়েছে তারও খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।