এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) কাপের ডি গ্রুপে অলিখিত ফাইনালে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করে মোহনবাগান।
ফলে এবারের মতো এএফসি মিশন অপরাজিত থেকেই শেষ করলো অস্কার ব্রুজোনের শিষ্যরা।
এএফসি কাপের ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে মঙ্গলবার মালদ্বীপের রাজধানী মালের রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে কলকাতার ক্লাব মোহনবাগানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে বসুন্ধরা কিংস।
ফলে নকআউট পর্বে উঠে যায় মোহনবাগান।
প্লে-অফে খেলতে হলে জয়ের প্রয়োজন ছিল কিংসের। সেই লক্ষ্যে তাদের শুরুটাও ভালোই হয়েছিল। দুর্দান্ত কিছু আক্রমণ করে বসুন্ধরা কিংস। গোলের দেখাও পেয়ে যায় তারা।
ম্যাচের ২৮তম মিনিটে গোল করে কিংসকে এগিয়ে দেন জনাথন ফার্নান্দেস। বক্সের মধ্য থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে কাছের পোস্ট দিয়ে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। কিন্তু গোলটা ধরে রাখতে পারেনি তারা।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে বসুন্ধরা কিংসের সুশান্ত ত্রিপুরা কোনো কারণ ছাড়াই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের অর্ধেক তখনও বাকি।
মোহনবাগানের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ১০ জনে খেলা খুবই কঠিন। তারপরেও রক্ষণ জমাট রেখে লড়ে যাচ্ছিল কিংসরা। ৬২তম মিনিটে ম্যাচে সমতায় ফেরায় মোহনবাগান। লিস্টনের পাসে গোলমুখ থেকে সহজ টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার ফরোয়ার্ড উইলিয়াম।
সমতায় ফিরেই রক্ষণাত্মক খেলায় চলে যায় মোহনবাগান। তাছাড়া কলকাতার দলটির খেলোয়াড়রা সময়ক্ষেপণও করতে থাকেন। এর মাঝেই ৮৪তম মিনিটে রবসন দা সিলভার শট সাইড পোস্টে লাগে। অনেক চেষ্টা করেও এরপর আরেকটি গোলের দেখা পায়নি কিংসরা।
এবারের মতো বসুন্ধরা কিংসের এএফসি কাপ মিশন এখানেই শেষ হলেও গ্রুপ পর্বে নিজেদের শক্তিমত্তার প্রদর্শন ঠিকই করেছে তারা। ৩ ম্যাচ খেলে কোনও ম্যাচেই নেই হার। ১ জয় আর ২ ড্র নিয়ে আসর শেষ করলো অস্কার ব্রুজোনের দল।