প্রায় এক মাসের কারাবাস শেষে আজই বাসায় ফিরেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। ফিরেই পেলেন একটি দুঃসংবাদ। বাসা ছাড়তে হবে তাকে। এমনই নোটিশ দেওয়া হয়েছে নায়িকাকে। তার মুক্তির চার দিন আগেই নোটিশ দেওয়া হয়। আর তাই এক বিপদ থেকে কিছুটা স্বস্তি পেয়ে আরেক বিপদের মুখোমুখি পরী।
বনানীর লেকভিউ এলাকার ১৯/এ রোডের ১২ নম্বর বাড়িতে ভাড়া থাকেন পরীমণি। কয়েক দিন আগে তিনি কারাগারে থাকাকালীন একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এই বাসা ছেড়ে দিতে হবে। প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই নাকি বাড়িওয়ালা এমন নোটিশ দিয়েছে।
বুধবার বিকালে গণমাধ্যমকে ক্ষুব্ধ পরীমনি বলেন, আমি তো একা থাকি না। আমার বয়স্ক নানুভাই আছেন। হঠাৎ করে এসব কী! হঠাৎ করে কই যাব, সেটা কি কেউ বলতে পারেন?
আলোচিক এ নায়িকা বলেন, এখন এই মুহূর্তে আমাকে কে বাসা খুঁজে দেবে? কারাগার থেকে ঘরে ঢোকার পর বাসা ছাড়ার নোটিশ দেখতে পেলাম। এখন কি তাহলে আমার বসবাসের অধিকারটা পর্যন্ত কেড়ে নিচ্ছে ওরা? ওরা যা চেয়েছিল, তা-ই কি হচ্ছে? আমি কি তাহলে ঢাকা ছেড়ে চলে যাব, নাকি দেশ ছেড়ে চলে যাব?
২৭ দিন পর মাদক মামলায় জামিন মেলে পরীমনির। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ কারাগার থেকে পরীমনিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ পরীমনির জামিনের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে তার বাসা থেকে আটক করে র্যাব। এরপর মাদক মামলায় তাকে কয়েক দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয় এবং শেষ পর্যন্ত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। টানা ১৯ দিন কারাগারে ছিলেন তিনি। অবশেষে জামিন পেয়ে মুক্ত হলেন পরী।