চলচ্চিত্র জগতে চার বছরের পদচারণা। অভিনয় করেছেন মাত্র ২৭টি চলচ্চিত্রে। তারপরও জয় করেছেন কোটি দর্শকের হৃদয়। বলছি নব্বই দশকের শ্রেষ্ঠ নায়ক বাংলা চলচ্চিত্রের যুবরাজ সালমান শাহ কথা। ৬ সেপ্টেম্বর তাঁর ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী।
রুপালি পর্দায় সালমান সাম্রাজ্যের সূচনা হয় নব্বই দশকের শুরুর দিকে। সোহানুর রহমান সোহানের কেয়ামত থেকে কেয়ামত দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখা। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয় নি সালমানকে। চার বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ২৭টি চলচ্চিত্র।
১৯৭১ সালে নানার বাড়ি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের এই তুখোড় নায়ক। বাংলা চলচ্চিত্রের বেশিরভাগ নায়কের অনুপ্রেরণার উৎসও ছিলেন তিনি। শুধু নায়ক সালমান নয়, ব্যক্তি সালমানও ছিলেন বেশ জনপ্রিয়।
চার বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে সিনেমার সংখ্যা বেশি না হলেও স্বপ্নের পৃথিবীতে তিনি যেন জন্মেই ছিলেন স্বপ্নের নায়ক হয়ে। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন সালমান শাহ।
সারা পৃথিবী মনে না রাখলেও বাংলাদেশের সিনেমা পাগল মানুষ মনে রেখেছেন তাঁকে। তবে ভক্তদের জন্য আগামী দিনগুলো যে বেদনাবিধুর হবে তা জানতে পারেন নি তিনি। অনন্তলোকে পাড়ি জমানো বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বজন নন্দিত নায়ক সালমান শাহ তার কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন কোটি ভক্তের হৃদয়ে।